যদিও অসুস্থতার কারণে মে মাসের শেষ দিকে হাজিরা এড়িয়ে সময় চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। চিকিৎসকরা তাঁকে ১৫ দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, এই দাবি করে আইনজীবী পাঠিয়ে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় সময় চেয়ে নিয়েছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। এই সময়কালের মধ্যে ফের সিবিআইয়ের তরফে সমন ইস্যু করে তলব করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই নোটিস ইস্যু করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
advertisement
প্রসঙ্গত শুধু এই মামলা নয়, গরু পাচার মামলাতেও সিবিআই-এর কড়া নজরে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সপ্তাহ দুই আগে গরু পাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পরই অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএমে গিয়েছিলেন চিকিৎসকদের কাছে। তারপরই চিকিৎসকরা দিন ১৫ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা।
এরই মাঝে ভোট পরবর্তী অশান্তি ও গরু পাচার মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল মে মাসের শেষ সপ্তাহে। কিন্তু সেই হাজিরা তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। ফের তাঁকে তলব করা হল। বৃহস্পতিবার তিনি ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় হাজিরা দেন কিনা, তা নিয়ে তুঙ্গে ছিল জল্পনা। শেষমেশ অবশ্য হাজিরা এড়ালেন না ডাকাবুকো এই তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগে সব প্রশিক্ষণ শংসাপত্র সঠিক? নতুন বাঁক নিয়ে তুমুল আলোড়ন!
গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে নিজের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছেন অনুব্রত। এখনও বেশকিছু নথি হাতে পাননি তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর সেই সকল নথিও জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডলকে বিভিন্ন বক্তব্য সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্য ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভোটের পর বীরভূম জেলায় যে সকল রাজনৈতিক অশান্তি ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই।