অতীতেও এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। কলকাতায় ধৃত জঙ্গি সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে ট্রানজিট রিম্য়ান্ডে কলকাতায় আনার জন্য় মধ্য়প্রদেশের স্থানীয় আদালতে আজ আবেদন জানাবে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
আরও পড়ুন: কাকে মারার ছক ছিল ধৃত জঙ্গি সাদ্দাম-সৈয়দের, এসটিএফ-এর দ্বারস্থ হয়ে এ বার তদন্তে এনআইএ
advertisement
গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু' জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সইদ। এই দু' জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য় হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে সে। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৯ সালে ৮ মাসের জন্য় নয়ডায় কাজ করতে গিয়েছিল সাদ্দাম। সেখান থেকে ফিরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেয় সে। তখন থেকেই আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে এমটেক পড়ুয়া ওই যুবক। বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে নিজে পড়াশোনা শুরু করে। যাদের মগজধোলাই করে, তাদেরকেও বিদেশি অস্ত্র নিয়ে পরামর্শ দিতে শুরু করে সাদ্দাম।
আরও পড়ুন: শহরে ফের উদ্ধার বিপুল নগদ, স্ট্র্য়ান্ড রোডে দু'টি ব্য়াগে মিলল ৪৩ লক্ষ! ধৃত ৩
তদন্তকারীদের দাবি, কাউকে খুনের পরিকল্পনা ছিল সাদ্দামের। কিন্তু কাকে খুন করবে, সেই টার্গেট চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি সে। তার আগেই মোক্ষম সময়ে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে দাবি।
ইতিমধ্য়েই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।