আরও অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ ২০১৪ সালের ওএমআর শিট নষ্টের মামলায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এ ব্যাপারে মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে অসহযোগিতা করলে তাঁকে হেফাজতে নিয়েও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷ নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি উল্লেখ করেন, কোনও টেন্ডার ছাড়া ওএমআর শিট নষ্ট করায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিন্দনীয় অভিপ্রায় লক্ষ্য করা গিয়েছে। নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে বাছাই করে, তাদের দিয়ে ওএমআর শিটের কাজ করানো অনেক কিছুর সন্দেহ তৈরি করে বলেও নির্দেশ দিতে গিয়ে উল্লেখ করেন বিচারপতি ৷
advertisement
মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও পর্যবেক্ষণ, ওএমআর শিট ডিজিটাইজ মোডে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা করা উচিত স্ক্যান মোডে। স্ক্যান মোডে সংরক্ষিত থাকলে ওএমআর শিট বদলানো অথবা জালিয়াতি করা যায় না। তথ্য জানার অধিকার আইনে ওএমআর শিট পরীক্ষার্থীরা চাইলে তাঁদের দেওয়া হয়েছে ডিজিটাইজ মোডের ওএমআর শিট। আবার পর্ষদ অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের জানিয়েছে, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়ে গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে না আসায় তা দেওয়া সম্ভব নয়। ওএমআর শিট ডিজিটাইজ মোডে কেন সংরক্ষণ করা হয় এবং কেন নষ্ট করা হয়েছে, সেই মর্মে রিপোর্ট চাওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে। পর্ষদ রিপোর্ট দেয়।
আরও পড়ুন- পুজোর মুখে কি বন্ধ হবে বিনামূল্যে রেশন ?
পর্ষদের রিপোর্টকে সামনে রেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘‘২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিল। তার মধ্যে ১২.৯৫ লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। কোন কোন পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে, তা জানাতে ব্যর্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।’’ আর এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর দুর্নীতি ইস্যুতে এই মুহূর্তে আরও এক নয়া হাতিয়ার বঙ্গ বিজেপির হাতে। যে হাতিয়ারকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই সুর চড়ালেন গেরুয়া শিবিরের এ রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।