প্রথমে তরুণীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । ওমিক্রন আক্রান্তদের জন্য (২৫ জন মহিলা এবং ২৫ জন পুরুষ) হাসপাতালে যে বিশেষ ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই আইসোলেশনে রাখা হয় দোহা ফেরত তরুণীকে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
advertisement
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, '' ব্রিটেন থেকে আসা এক তরুণী কোভিড পজিটিভ। আক্রান্তের লালারস জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তরুণীকে বেলেঘাটা আইডি-তে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল, পরে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই কোয়ারেন্টাইনে আছেন। রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থীতিশীল।''
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওমিক্রণ সংক্রমন পরীক্ষার জন্য তরুণীর জিনসজ্জা বা জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে দেখা হবে। লালারসের নমুনা পাঠানো হচ্ছে কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকসে।
ডিসেম্বরের গোড়াতেই ভারতে ঢুকে পড়ে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। কর্নাটকে দু’জনের শরীরে প্রথম মেলে এই নয়া মারণ ভাইরাসের হদিশ। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা, বয়স যথাক্রমে ৬৬ এবং ৪৬ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আক্রান্তদের ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’-ও করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর। এরপর, রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে ৯ জন এবং মহারাষ্ট্রে ৭ জন করোনা সংক্রমিতের খোঁজ মেলে। প্রত্যেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত। জানা যায়, মহারাষ্ট্রের ৪ জন বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন, বাকি ৩ জন ওই ৪ জনের ঘনিষ্ঠ। মহারাষ্ট্রের আক্রান্তরা সকলেই পুণের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
