পরে সবাই জানতে পারেন ওই বৃদ্ধ দেব কুমার রায় (৬৯) ও স্ত্রী শ্যামলী রায় (৬২) দুজন মিলে পূর্ব বালিয়ায় বুলা মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।মাসে ৩০০০ টাকা করে একটি ঘরের ভাড়া ছিল।৬৯ বছরের বৃদ্ধ বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন।অবসর নেওয়ার পর যা টাকা ছিল তাতেই এতদিন চলেছে। তাঁদের আর টাকা নেই। তাই বাড়িওয়ালির ভাইপো বাবুসোনা জোর করে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে,বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন : নীলষষ্ঠী উপলক্ষে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ভিড়
দেব কুমার বাবু জীবনের সঞ্চয় দিয়ে মেয়ে পূজাকে নামী জায়গা থেকে ম্যানেজমেন্ট পড়িয়েছিলেন। মেয়ে এখন মুম্বইতে চাকরিরত।সেখানেই সংসার পেতেছেন। অভিযোগ, তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ রাখেন না। যার ফলে বৃদ্ধ এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি এই পরিস্থিতির কথা মেয়েকে জানাতে চাইছিলেন না। এইরকম অমানবিক আচরণ শহর কলকাতায় খুব একটা দেখা যায় না। বিষয়টি রাজপুর সোনারপুরের কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথের কানে আসার পরেই,তিনি এই দুজনের থাকার একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
কিন্তু এই মুহূর্তে যেখানে তাঁরা রয়েছেন, সেখানে যেরকম মশা, তেমনই সাপের উৎপাত রয়েছে । তাঁদের সেখানে করুণ অবস্থায় দিন কাটছে। পাশের বাড়িগুলো থেকে খাবার এলে খাচ্ছেন। নইলে দুজনে অসুস্থ বসে থাকছেন ওখানে। বিষয়টি রেলপুলিশের নজরে এলেও, তারা আমল দিতে চাননি। এখন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নিজেদের ভাগ্যকেই দোষ দিয়ে ওই বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে থানায় জানাতে চাননি। তবে বাড়ি ওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।