ভারী বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে শহরের আরও এক জায়গায়। কলকাতার পুরসভার ৩৯ নং ওয়ার্ডের জোড়াসাঁকো থানার অন্তর্গত ৩ নং বালক দত্ত লেন । সেখানে প্রায় ১০০ বছরের বেশি পুরনো, পরিত্যক্ত জশওয়াল ভবন । বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টের সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটির বেশ কিছু অংশ। জানা গিয়েছে, বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়ে এই পরিত্যক্ত বাড়িটি ৷
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গার নীচে চালক ছাড়াই দৌড়বে মেট্রো ! ATO প্রযুক্তির মহড়া রবিবার গ্রিন লাইনে
বাড়িটিতে এর আগেও বহুবার পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাড়িটি পুরনো ও পরিত্যক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে ভেঙে ফেলার কথা বলে এই নোটিশ আটকে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির দেওয়ালে। কিন্তু, তাতেও কর্ণপাত করেননি বাড়ির মালিক।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম ডি জসিমুদ্দিন বাড়ি ভাঙার খবর শুনে ছুটে আসেন। এই বাড়িতে দুটি পরিবার ভাড়া আছেন বহু বছর। দু তলায় আটকে পড়েছিলেন তিনজন। স্ত্রী, ও ছেলেকে নিয়ে গোলাপ রায় আটকে পড়েছিলেন উপরের তলায়। বাড়ির মধ্যের অংশ ও সিঁড়ি ভেঙে পড়ায় নামতে না পরে ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন তারা।
দমকলে খবর দেওয়া হয়, বিল্ডিং দফতরে খবর যায়। কাউন্সিলর নিজে আসেন ঘটনাস্থলে। এরপরে কর্মীরা কাজে হাত লাগান। মই দিয়ে উপর থেকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ নিয়েই দমকল কর্মীরা আটকে পড়া পরিবারকে নামিয়ে আনেন।
আরও পড়ুন: ‘খুশি তো…?’ পুজোয় বিরাট ঘোষণা মমতার! কবে বিসর্জন, কবে কার্নিভাল? এবার পুজোয় দারুণ চমক
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম ডি জসিমুদ্দিনের বলেন, “এই বাড়ির মালিককে ডেকেও পাওয়া যায়নি। এই বাড়ি মূলত একটি ট্রাস্ট এর দায়িত্বে আছে। তারা কেউ আসেনি। প্রাথমিক ভাবে আমার দায়িত্ব ছিল আটকে পড়াদের বাঁচানো। আমি সেটা করেছি। বড় বিপদ হতেই পারত! আজ বাড়িতে তালা মেরে দেওয়া হবে। পুরো বাড়িটি ভেঙে ফেলবে পুরসভা। আমি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলব। এরপরে এই বাড়ির মালিকের নামে জোড়াসাঁকো থানায় এফ আই আর করব।”
সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপোতা আবিষ্কারের কথা নিশ্চয় মনে আছে? জোড়াসাঁকো এলাকায় এই বাড়িটিকে দেখলে হুবহু ওইরকমই মনে হবে। এই বাড়িতে কেউ যে থাকতে পারে তা ভাবাও যায় না। অথচ দুর্বল এই বাড়িতেই বাস করতেন বিহার থেকে আসা এক পরিবার। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে জোড়াসাঁকো থানা কী ব্যবস্থা নেয় এখন সেটাই দেখার।
