আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি থেকে ফের খুলছে স্কুল, নবান্নে বড় ঘোষণা মমতার
গত প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মণ রেখায় আবদ্ধ মানুষ। কোভিডের গ্রাফ উঠেছে, বেড়েছে বিধি। গ্রাফ নামলেও বিধি উঠে যায়নি। শিথিল হয়েছে মাত্র। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থেকেছে মানুষ। খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। বিকাল হলে বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়েছে শিশুদের। তাই তাদের কথা ভাবলেন মুখ্য়মন্ত্রী (Mamata Banerjee)। একদিকে যেমন খুলে দিলেন স্কুল, তেমনই খুলে গেল রাজ্য়ের বিনোদন পার্কগুলিও। ৩ তারিখ থেকে খুলছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালু হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
advertisement
শুধু পার্কই নয়, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র খুলে যাচ্ছে। কাছে পিঠে ঘুরতে যেতে পারবেন মানুষ। ঘুরতে পারবেন দূরবর্তী স্থানেও। কারণ মুম্বই, দিল্লি উড়ান প্রতিদিন চলবে। কলকাতা-লন্ডন ফ্লাইট চালু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্যুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কঠোর হয়ে ক্ষমাপ্রার্থী মমতা
২০২০-র মার্চে শুরু হয়েছিল আরও এক অন্ধকার যুগ। চার দেওয়ালের অন্দরে বন্দী হয়েছিল জীবন। নিত্য়প্রয়োজনীয দ্রব্য় ছাড়া আর যে কোনও কারণে বাইরে বের হওয়া ছিল বারণ। পার্ক তো সেখানে সোনার পাথর বাটি। খোলা হাওযার জন্য় ছাদই ছিল যথেষ্ট। তারপর কোভিড কমেছিল। বিধি নিষেধও শিথিল হয়েছিল। কিন্তু ঠিক যে মুহূর্তে মনে হযেছিল সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে তখনই আবার কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। মৃত্য়ুহার বেশি না হলেও এই ঢেউতেই মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সর্বাধিক। সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয ফের বন্ধ হয়ে যাবে পার্ক ও সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র। মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই বারবার সিদ্ধান্ত বদলেছে সরকার (State Goverment)। মাঝে কোভিড খানিকটা কমায় অবশ্য় স্থির হয়েছিল, ভ্য়াকসিনের দুটি শংসাপত্র (Certificate) দেখিয়ে পার্কে প্রবেশ করা যাবে, কিন্তু সে গুড়েও বালি।
জানুয়ারির শেষ দিনে খানিকটা স্বস্তি পেল মানুষ। ময়দান বা ভিক্টোরিয়া চত্বর খাঁ খাঁ করবে না আর। আবার কোলাহলে মাতবে শহর বা শহরতলির পার্কগুলি। তবে এর মধ্য়েই পার্ক খোলা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা।