১৯৭২ সালে উত্তর-পশ্চিম ইরানের জ়ানজানে জন্ম৷ ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা৷ পরে ইঞ্জিনিয়ারিংও পড়েন৷ কিন্তু, বেশিদিন সেই পেশায় থাকেননি৷ যোগ দেন সাংবাদিকতার কাজে৷ তবে সেন্টার ফর হউমান রাইটস ডিফেন্ডারের সদস্য হিসাবে তাঁর কাজ সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে মানুষের৷ ইরানের মহিলাদের পড়াশোনা থেকে পোশাক, সার্বিক স্বাধীনতার প্রশ্নে বারবার সরব হন৷ চলে ক্ষমতাশীলের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই৷ সেই লড়াইয়ে মানসিক, শারীরিক সব দিক থেকেই একাধিক বার ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে তাঁকে৷ তবে কখনও থেমে যাননি৷
advertisement
আরও পড়ুন: কামদুনি কাণ্ডে ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলমুক্ত ৩
এদিন নোবেল কমিটি নার্গিসের নাম ঘোষণা করে লেখেন, ‘‘ব্যক্তিগত বহু ক্ষতি স্বীকার করে নার্গিস তাঁর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন৷ নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন৷’’
আরও পড়ুন: টাকা না প্রেম, কেমন কাটবে এবারের পুজো? বলে দেবে আপনার নামের শুরুর অক্ষর
বর্তমানেও জেলের ভিতরেই বন্দি নার্গিস৷ তাঁর নোবেল পাওয়া নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়ার তো কোনও প্রশ্নই নেই৷ তবে, নার্গিসের ভাই হামিদ্রেজা মোহাম্মদি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এর ফলে ইরানের অবস্থা কিছুটা হলেও ভাল হবে৷ ওখানকার অবস্থা ভয়ঙ্কর৷ যাঁরা প্রতিবাদী, আন্দোলনকারী, তাঁরা খুনও হয়ে যেতে পারেন ওখানে৷ নার্গিসের এই খবরে আমি খুশি৷’’