প্রথমে দমকল কর্মীরা রাস্তার দিকে বারান্দার আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।দমকলের কর্মীদের সঙ্গে এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও স্থানীয় যুবকরা হাত লাগায়। দু'ঘণ্টা পর্যন্ত দমকলকর্মীরা কোনভাবে বিল্ডিংএর ভেতরে ঢুকতে পারেনি।অবশেষে বিল্ডিংয়ের ভেতরের দিকটাতে দমকলের কর্মীরা ঢুকতে সক্ষম হয়।বিল্ডিং বাইরে থেকে বারান্দার আগুন (Fire) নেভানোর কাজ শুরু করে।সেই সময় দোতালায় বিকট শব্দে কিছু ফাটে।আতঙ্কে হুড়মুড়িয়ে সবাই দৌড়াতে থাকে এদিক ওদিক।
advertisement
যেহেতু ওই বিল্ডিংটি কলুটোলা এলাকায়,রাস্তাগুলো অনেকটাই সংকীর্ণ।ফলে দমকলের গাড়ি যাতায়াত করা অনেকটা সমস্যা হয়।বেলা তিনটে নাগাদ দমকল কর্মীরা দোতলায় উঠতে সমর্থ হয় এবং দরজা ভেঙে সাটার কেটে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।দমকল কর্মীদের বেগ পাওয়ার একটাই কারণ।ওই বিল্ডিংটি বহু পুরানো।কাঠের কড়ি বর্গার।বিল্ডিংএর যে সমস্ত অফিস রয়েছে সেগুলোও পর্যন্ত প্লাই এবং কাঠ দিয়ে তৈরি।জানালা দরজা,বারান্দার থাম সবই কাঠের।যারফলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।অনেকে বলেন ইলেকট্রিক সর্টসার্কিট থেকেই আগুন।তবে মাকড়সার জলের সারা বিল্ডিংয়ের জুড়ে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।সেই আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় দমকলকে।
আরও পড়ুন - পকেটে ২১ হাজার রয়েছে, এখনই বুকিং করে ফেলুন ভারতের বাজারে Tata Motors-র নতুন গাড়ি মাইক্রো SUV, Tata Punch
বিকেল ছটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে এবং কুলিং এর কাজ শুরু করে দমকল। সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুনে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।ওই বিল্ডিংয়ে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সঠিক ছিল না।সেটাই কিন্তু দাবি করছিলেন দমকল কর্মীরা।আগুন নেভাতে মোট পঁচিশ থেকে ত্রিশটি ইঞ্জিন ব্যবহার হয়েছে।
SHANKU SANTRA
