নিউটাউন, শহর কলকাতার নয়া মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য একটা স্থান। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে শহর কলকাতার পরিচায়ক হয়ে দাঁড়াবে নিউটাউন। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ নিউটাউনে বসবাস করেন। একাধিক আবাসন ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ সেই আবাসনগুলিতে ভিন্ন বয়সী মানুষ থাকেন। নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি সূত্রে খবর, তাদের এলাকায় রয়েছে ১০'টি পার্ক। আর সেই পার্কের সামনেই বসেছে নোটিশ বোর্ড। নীল রঙের নোটিশ বোর্ডে উল্লেখ হয়েছে, এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির। পার্ক ব্যবহার করা যাবে সকাল ৫'টা থেকে রাত ৮'টা অবধি। পার্কের বুকিং থেকে নিরাপত্তার মতো বিষয় সবটাই পালন করবে নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি কর্তৃপক্ষ৷ সকাল ৫'টা থেকে সকাল সাড়ে আটটা এবং সন্ধ্যা ছ'টা থেকে রাত আটটা অবধি পার্কে জগিং, হাঁটাহাটি, ব্যায়াম করা যাবে। সকাল সাড়ে আটটার পরে যদি কেউ এই পার্কে প্রবেশ করতে চান, তা হলে তাকে পার্কে এন্ট্রি ফি বাবদ জমা দিতে হবে ৫০০ টাকা। এই ৫০০ টাকার সময় মূল্য আবার মাত্র তিন ঘন্টা৷ এই এন্ট্রি ফি'র সিদ্ধান্ত ঘিরেই তরজা অব্যাহত।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিক্ষোভকারীদের দখলে! রাজাপক্ষের পদত্যাগের দিকে তাকিয়ে শ্রীলঙ্কা
নিউটাউনের বাসিন্দাদের বক্তব্য তারা সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। তাহলে কেন তাদের পার্কে প্রবেশের জন্য ৫০০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হবে৷ বাণিজ্যিক ভাবে পার্কের এই ব্যবহারকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বাসিন্দাদের অনেকেই।পার্ক ব্যবহারের নিয়মাবলিতে উল্লেখ আছে, ব্যবহারকারী কোনও ভাবেই পার্কের কোনও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারবেন না। পার্কের মধ্যে খাবার,পানীয়, নেশাজাত দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না৷ বিজ্ঞাপন, ব্যনার বিনা অনুমতিতে দেওয়া যাবে না৷ নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির অনুমতি ছাড়া এই স্থান বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার করা যাবে না।নিউটাউন সিটেজেন্স ওয়েলফেয়ার ফ্র্যাটারনিটির তরফে সম্পাদক সমীর গুপ্ত জানিয়েছেন, সকল আবাসিক নাগরিকদের কোনও প্রকার শর্ত ছাড়াই অবাধে খেলার মাঠ ব্যবহার করতে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দেখতে এসে মারাত্মক দুর্ঘটনা! ঘটে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড, শোরগোল চারিদিকে
এ ক্ষেত্রে কোনও আগাম অনুমোদন নেওয়ার ব্যবস্থা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। খেলার মাঠ ব্যবহারের সময় নির্ঘন্ট এবং অন্যান্য বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্লক কমিটি এবং নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি যৌথ ভাবে দেখভাল করবেন। গুগল ফর্মে আবাসিকদের নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে ঢোকার উল্লেখ করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে৷ খেলার মাঠ ব্যবহারে স্থানীয় নাগরিকদের অধিকার প্রথমে৷ তারাই সর্বদা অগ্রাধিকার পাবেন৷ কোনও ভাবেই নাগরিক স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঠে ব্যবসা বাণিজ্য করা চলবে না। নিউটাউনের অবশিষ্ট ব্লকে খেলার মাঠ অবিলম্বে করতে হবে। ইতিমধ্যেই আবাসিকদের তরফে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে। তারা আশাবাদী অথরিটি ব্যবস্থা নেবেন।
Abir Ghosal