Nirmala Sitharaman: বঙ্গে এসে নির্মলার মুখে শেখ শাহাজাহান...দুর্নীতি ইস্যুতেও বিঁধলেন মমতার সরকারকে! বললেন, ‘এদের টাকা কী করে দেব?’

নিজের কথার সপক্ষে যুক্তি দিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি যা বলছি তার কোনওটাই আবেগতাড়িত হয়ে বলছি না। তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলছে৷ তোলাবাজির জন্য একের পর এক ইন্ড্রাস্ট্রি বাংলা ছেড়ে চলে গেছে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে খারাপ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশের ভূমিকা, সব কিছুতেই বাংলা শিল্প হারিয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শিল্প মন্ত্রী, আর সেই বাংলার শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে!’’

advertisement

আরও পডুন: অভিযোগের আগেই FIR! পুলিশকে তুমুল ভর্ৎসনা আদালতের…জামিনে মুক্ত সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার

এরপরেই নির্মলার কথায় উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ৷ তিনি বলেন, ‘‘শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে অর্থমন্ত্রকের ইডি এবং সেন্ট্রাল ফোর্সকে আক্রমণ করা হয়েছে। মহিলাদের উপর লাগাতার নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, অথচ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ, লোকসভায় মণিপুর নিয়ে পাগল করে দিয়েছে। আরে! আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে গিয়েছিলেন মণিপুর। আর কত সহ্য করবেন?’’ মঙ্গলবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত বিকশিত ভারত শীর্ষক এক আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি৷

কলকাতায় নির্মলা সীতারমণ৷

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নির্মলা বলেন, ‘‘একসময় কেরলের পর শিক্ষিতের হারে এগিয়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু এখন তামিলনাড়ু, গুজরাত, মহারাষ্ট্র বাংলাকে পিছনে ফেলে এগোচ্ছে।

মাইগ্রেন্ট লেবারের সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে! একসময় পশ্চিমবঙ্গ সমস্ত ক্ষেত্রে উৎপাদনের হাব ছিল, কিন্তু এখন উৎপাদক কোম্পানিগুলি এখানে কাজ করতে চাইছেন না। পশ্চিমবঙ্গের বেহাল অর্থনীতি বাংলার মানুষকে সমস্যায় ফেলবে। কলকাতার শিক্ষিত মানুষ আপনারা শুনুন৷ মাথা পিছু বার্ষিক আয় গত দু’দশকে কমেছে।’’

আরও পডুন: খান তো রসিয়ে…কিন্তু, বলুন তো রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে? ৯৯.৯৯% বাঙালিই দেন ভুল উত্তর…আর আপনি!

এরপরেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন নির্মলা৷ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সবসময় পূর্ব ভারতের উন্নয়নের লক্ষ্যে (ওড়িশা, বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড) কাজ করছেন। পুরো দেশের অর্থনৈতিক গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পূর্ব ভারতের গতি মেলানোর চেষ্টা করেন। পূর্ব ভারতকে বৃদ্ধির ইঞ্জিন তৈরির জোর প্রচেষ্টা চলছে। মহিলা থেকে দরিদ্র ভারতবাসী, যুব এবং অন্নদাতা কৃষক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করছে ভারত সরকার। আরও গতিশীল, আরও সমৃদ্ধ অর্থনীতির লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, AI, লজিস্টিক, রোড কানেকটিভিটি, কমিউনিকেশন সব কিছুতে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কেরল যদি করতে পারে বেঙ্গলও পারবে। Bengal is a blessed land.’’