কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকার এই বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার হাত ধরেই তৈরি হয়েছে নিপা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। যার প্রথম দফার ট্রায়াল ইতিমধ্যেই আমেরিকায় শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার হতে পারে আমাদের দেশে। যার মধ্যে বাংলার তিন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে হতে পারে প্রথম নিপা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে সূত্র মারফত।
advertisement
নিপা ভাইরাস মূলত বাদুড় থেকেই মানবদেহে ছড়ায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘটতে পারে মৃত্যুও! এই বিষয়ে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সিদ্ধার্থ জোয়ারদার বলেন, ‘‘এই ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর হার ৪৫ থেকে ৭৫ শতাংশ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু সচেতনতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাস থেকে বাঁচা সম্ভব।’’
তিনি জানান, এই ভাইরাস মূলত ছড়ায় বাদুড় থেকে। তাই তাল, খেজুরের রস খাওয়ার থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে সমস্ত চাষিরা এই পেশায় যুক্ত তাঁদের সচেতনা বাড়তে হবে। যাতে কোনও ভাবেই তাল বা খেজুরের রস বের করার সময় বাদুড় তাতে মুখ না দিতে পারে।
পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘‘এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেহেতু কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ আমাদের হাতে নেই৷ তাই নতুন ভ্যাকসিন আমাদের হাতে এলে তা এই রোগীর বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য হাতিয়ার হয়ে উঠবে। আর আমাদের রাজ্যে এর ট্রায়াল হলে খুবই ভাল হবে।’’
ভ্যাকসিন ট্রায়াল ফেসিসিলেটর স্নেহেন্দু কোনার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমেরিকায় নতুন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ৪০ জনের উপর ৪টি ভাগে ভাগ করে ভলেন্টিয়ার্সদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। প্রথম ১০ জনকে যে ডোজ দেওয়া হবে পরের গ্রুপে ভ্যাকসিনের মাত্রা বাড়িয়ে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা দেখা হচ্ছে। পাশাপশি, আমরা চাই এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আমাদের রাজ্যেই হোক। কারণ, আমাদের সরকারি হাসপাতালে যথেষ্ট ভাল পরিকাঠামো রয়েছে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য।’’
সূত্রের খবর, অনুযায়ী নিপা ভাইরাসের জন্য প্রস্তুত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল হতে পারে বাংলার এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ অথবা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন হাসপাতালে।