বৃহস্পতিবার সকালেই রামপুরহাট যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হুসেনকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশকে বলেন, অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত জায়গা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সেই বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়।
advertisement
নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজ্য জুড়ে বেআইনি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার জন্য আগামী ১০ দিন অভিযান চালাবে পুলিশ। আজ থেকেই এই অভিযান শুরু করা হবে। সমস্ত এসপি ও সিপিদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা যেন সমস্ত বেআইনি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে বিপুল অভিযান শুরু করেন। ডিআইজি ও জোনাল আইজি ও এডিজিরা নিজেরা উপস্থিত থেকে যেন এই অভিযানের বিষয়ে যেন উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অসুস্থতা ছিল না, কিন্তু বুধবার বদলে গেল পরিস্থিতি! অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণ কী?
বৃহস্পতিবার তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হুসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেই আনারুলের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় আনারুলকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়