কী ভাবে চলছে চক্র?
সিম ডিস্ট্রিবিউটার বা বিক্রেতার মাধ্যমে মিলছে প্রি-অ্যাকটিভ সিম। সিমগুলো অ্যাকটিভ করতে ব্যবহার হচ্ছে ভুয়ো আধার কার্ড (যেখান একজনের ছবি ব্যবহার করে তৈরি একাধিক আধার)। ওয়ালেট সংস্থাগুলিতে কর্মরতদের মধ্যে ওয়ালেট বিক্রির জন্য বেধে দেওয়া হয়েছে টার্গেট। সেই টার্গেট পূরণের আশ্রয় নিতে হচ্ছে ওই সিমগুলোর। প্রতিটি সিম পিছু তৈরি হচ্ছে একটি করে ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: কবে থেকে খুলবে ছোটদের স্কুল? আশা জাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন...
এখানে সিম বিক্রেতেরা শুধু মাত্র ওয়ালেট তৈরির জন্য ওটিপি বিক্রি করে দিচ্ছেন। গোয়েন্দাদের এখানেই প্রশ্ন, শুধু টার্গেট পূরণ নয়, ওয়ালেট ও প্রি-অ্যাকটিভ সিম পৌঁছে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে। ব্যাঙ্ক প্রতারণার তদন্তে নেমে অপরাধের নতুন ধরন সামনে এসেছে। এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ কোটি! রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিরাট খবর, চলছে নাম নথিভূক্তিকরণ...
যাদের মধ্যে ভোডাফোন স্টোরের এক ম্যানেজার আছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতদের অধিকাংশ সিম ডিস্ট্রিবিউটর ও বিক্রেতা। উদ্ধার হয়েছে উদ্ধার প্রি-অ্যাকটিভ সিম ও অনেক সংখ্যক জাল আধার কার্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মাসের ২০ তারিখ এসবিআই-এর এক গ্রাহক অভিযোগ করেন পর্ণশ্রী থানায়। অভিযোগ ছিল, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়। তাতে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট লিংককে রিমোটে নিয়ে নেয় প্রতারকরা। এমনকী, অনলাইনে পাল্টে দেয় ফোন নম্বরও। সেই ফোন নম্বরের সূত্রেই গ্রেফতার করা হয় হালিশহরের পার্থ সাহাকে। তাঁর বাড়ি থেকে ৭০০ অ্যাক্টিভেট সিম পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বর্ধমানের কালনার শিবশংকর মণ্ডলের হদিশ মেলে। তাঁর বাড়ি থেকেও ৪৮টি অ্যাক্টিভেট সিম পাওয়া যায়। তখনই উঠে আসে ওয়ালেট ওটিপি সেলারের প্রসঙ্গ। পার্থ সাহার মোবাইলে ওয়ালেট ওটিপি সেলারের চারটি গ্রুপের খোঁজ মেলে।
এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিন জনের খোঁজ মেলে। তাঁরা হলেন শ্যামল রায়, রামু গিরি, নিরঞ্জন পাল। শ্যামল রায়ের বাড়ি থেকে মেলে ৮০ খানা ভুয়ো আধার কার্ড। এই আধার কার্ডগুলিকে কাজে লাগিয়ে সিম গুলিকে অ্যাক্টিভেট করা হত। দেখা যায়, সিমগুলি আসত সল্টেলেকের এক ভোডাফোন স্টোর থেকে। দেখা যায়, অভীক মুখোপাধ্যায় নামে ওই ভোডাফোন স্টোরের ম্যানেজারও এই ঘটনায় যুক্ত।
--অমিত সরকার