এত দিন পর্যন্ত শিশুর জন্ম থেকে দেড় বছর পর্যন্ত পাঁচটি ওরাল ডোজ এবং পরে ইপ্লেকশনের মাধ্যমে আরও দু'টি পোলিও টিকার ডোজ দেওয়া হত। সাত দফার ওই টিকাকরণ এবার থেকে হতে চলেছে আট দফায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে লঙ্কাকাণ্ড! রাহুলের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড়, তোলপাড় রাজনীতি
জন্মের পরেই পোলিও টিকা খাওয়ানো হয় শিশুকে। তার পরে দেড়, আড়াই ও সাড়ে তিন মাসে দেওয়া হয় ইঞ্জেকটেবল পোলিও টিকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, সম্প্রতি পোলিও দূরীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি উপদেষ্টা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেড় ও সাড়ে তিন মাসের পরে এ বার থেকে ন'মাসেও ইঞ্জেকটেবল পোলিও টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ওই সময় শিশুদের ডান হাতে হাম ও রুবেলার টিকা দেওয়া হয়। তাই বাঁ হাতের উপরের দিকে দেওয়া হবে তৃতীয় ডোজের পোলিও টিকা।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁথির জবাব কাঁথি থেকেই, অভিষেকের পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই বলেন, “ভারতকে পোলিওমুক্ত দেশের তকমা ধরে রাখতে হলে একটি শিশুও যাতে পোলিও টিকাকরণ থেকে বাদ না-যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বুস্টার ডোজেরও প্রয়োজন। পোলিওমুক্ত অন্যান্য দেশেও তিন-চারটি ডোজ় নেওয়া হয়। তাই আগামী দিনে ওরাল টিকা বন্ধ করে ইঞ্জেকশনেই টিকা পর্ব সম্পন্ন করার দিকেই এগোচ্ছে সরকার।"
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের শেষ পোলিও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল হাওড়ায়। পাঁচলার এক শিশু পোলিওয় পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়। তারপর ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে হু বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতকে পোলিওমুক্ত দেশ বলে ঘোষণা করে। কিন্তু সম্প্রতি অন্য কয়েকটি দেশের পাশাপাশি কলকাতা, দিল্লি, জয়পুর, বেঙ্গালুরুতে নিকাশির জলে ভ্যাকসিন ডিরাইভড' বা টিকা থেকে নিষ্কাশিত পোলিও ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের।