এই প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আরও বলেন,’ বিজেপির কর্মী, সাধারণ ভোটাররা তাঁদের কাছে পৌঁছনোর জন্য আমার জন্য দরজা খুলে দিচ্ছেন। আমি ওদের কাছে গিয়ে কথা বলছি। নওশাদ সাহেবতো তাঁর সম্প্রদায়ের লোককে বিজেপি সম্প্রদায়িক বলে ভুল বুঝিয়ে রেখেছেন। দরজা খুললে ভাঙড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি অকুতোভয়। আমি বিজেপির হয়ে ভোট চাইব না। নওশাদ সাহেবরা কি দরজাটা খুলবেন?’
advertisement
আরও পড়ুন: তিনি দলের ‘পাশে’, সেই পার্থকেই পুরোপুরি মুছে ফেলল তৃণমূল? ২১ জুলাইয়ের আগে তোলপাড়
পঞ্চায়েত ভোট শেষ। এবার টার্গেট লোকসভা নির্বাচন। চব্বিশের লক্ষ্যে এখন থেকেই অঙ্ক কষতে শুরু করেছে বিজেপি। নজরে এবার মুসলিম ভোট। শনিবার ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ককে দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে কী বলছেন নওশাদ? নওশাদের কথায়, ‘একজন বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি রাজ্যের সমস্ত প্রান্তে যেখানেই গণতন্ত্র আক্রান্ত হচ্ছে সেখানেই তিনি যেতে পারেন। ভাঙড়ে আসার ক্ষেত্রেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমি তো প্রথম দিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে আসছি। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতা। দরজা খোলার কিছু নেই। উনি আসতেই পারেন’।
আরও পড়ুন: দিনভর বৃষ্টি শুরু, তোলপাড় হবে বাংলা! আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপুল বদল আবহাওয়ায়, জানুন
শুভেন্দুর মন্তব্যকে অস্ত্র করে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন,’এতগুলি মানুষকে খুন হওয়ার পর শুভেন্দু কি ভাঙড়কে ফের রক্তাক্ত করতে চান? দরজা তো খুলেই দিয়েছেন’। এই প্রথম নয়। পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরেই তৃণমূলের মুসলিম ভোট নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, ‘সংখ্যালঘু ভোট ধসে যায়নি। কিন্তু, ফাটল ধরানো গিয়েছে। এটা এনাফ। এই ফাটলই যদি আগামী দিনে বড় করা যায় তাহলেই তৃণমূল কংগ্রেস শেষ’। পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, মুসলিম ভোটকে পুরোপুরি ভাবে দূরে সরিয়ে রেখে বিজেপির পক্ষে বঙ্গজয় সম্ভব নয়।
সম্প্রতি, দলের নেতা-কর্মীদের পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কাছে পৌঁছনোরও বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের থেকে এবার বঙ্গ বিজেপি সংখ্যালঘুদের প্রার্থীও করেছিল অনেক বেশি পরিমাণে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের কথায়, ‘বাংলায় ক্ষমতার স্বাদ পেতে গেলে সংখ্যালঘু ভোট প্রয়োজন। তাই বিজেপি চব্বিশ এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সংখ্যালঘুদের মন পেতে সেই পরিকল্পনায় অবশ্যই নানান কৌশল নেবে’। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোটের সিংহভাগই তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। অনেকের মতে, চব্বিশে এই ভোটেরই একাংশ নিজেদের দিকে টানতে চায় বিজেপি। তবে কতটা সফল হবে, সেটা সময়ই বলবে।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী