ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, “আজ আমি স্বরাষ্ট্র দফতরে মন্ত্রীর কাছে মেনশন করেছি। কলকাতা পুলিশের যে লকআপ রয়েছে লালবাজারে। যেটাকে সেন্ট্রাল লকআপ বলা হয় সেখানে অভিযুক্তদের সঙ্গে বেআইনি ও অমানবিক আচরণ করা হয়। যে অভিযুক্ত হিসেবে আছে সে দোষী নাও হতে পারে। অথচ তাঁর সঙ্গেও আসামির মতো আচরণ করা হয়।
advertisement
নওসাদ বলেন, “অভিযুক্তদের পরার জন্য যে পোশাক দেওয়া হয় তা যেমন অপরিচ্ছন্ন তেমনই অশ্লিল। একটা হাফপ্যান্ট দেওয়া হয় সেখানে কোনও বোতাম নেই গুঁজে রাখতে হয়। টয়লেটগুলো খুবই অপরিচ্ছন্ন। একটা সাবান পর্যন্ত সেখানে দেওয়া হয় না। টয়লেটে ফুটো করে রাখা আছে। সেখানে গার্ডরা দেখতে পায়। এটা রাইট টু প্রাইভেসিতে আক্রমণ করার সামিল।”
“আবার যে খাবার দেওয়া হয় তা অতি নিম্নমানের এবং অপর্যাপ্ত। সকাল ন’টায় চারটে রুটি দেওয়া হয়। এবং রাত ন’টায় চারটে রুটি দেওয়া হয়। মাঝে কয়েকবার লাল চা ও মেরি বিস্কুট দেওয়া হয়। ডাক্তারদের সঙ্গেও অভিযুক্তরা কথা বলতে পারে না নিজেদের সমস্যা নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ যে রিপোর্ট তৈরি করে দেয় সেটাই করা হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় একটা ঘড়ি পর্যন্ত রাখা নেই অভিযুক্তদের জন্য যে সময় দেখবে। আমি ২৪ দিন ছিলাম আমার সঙ্গে ১০ জন ছিল। আমি যা স্বচক্ষে দেখেছি সেই সব কথাই বিধানসভায় বলছি।”