এই বস্তিতেই পরিবার নিয়ে থাকতেন সালমা খাতুন। শনিবার রাতের খাওয়া শেষ করে বাইরে বেরোতেই দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে চারদিক। শুধুমাত্র বাচ্চা এবং প্রিয়জন ছাড়া আর কিছুই নিয়ে বেরোতে পারেননি। নারকেলডাঙা লাগোয়া মমিন হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সালমা খাতুনের বোন চাঁদনী খাতুন। সেও থাকতো একই বাড়িতে। কয়েকদিন বাদেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে চাঁদনী। কিন্তু পাঠ্য বই থেকে অ্যাডমিট কার্ড পুড়ে ছাই সবই। কীভাবে পরীক্ষা দেবে, কীভাবেই বা পড়াশোনা চলবে? চিন্তায় পরিবার।
advertisement
শনিবার রাতে নারকেলডাঙায় বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয় বস্তি এলাকার অন্তত ৪০ টি ঝুপড়ি। রাত ১০ টা নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। নিমেষের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় বিস্তীর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা। ভোর চারটের সময় দমকলের ১৬ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬ টি ইঞ্জিন।
সূত্রের খবর, রাস্তার ধারে থাকা একটি পিকআপ ভ্যান এবং ট্রাকেও আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে সে দু’টি গাড়ি। স্থানীয়দের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকর্মীদের।
আরও পড়ুন : প্রেমের সপ্তাহে বিয়ের আসর থেকেই শ্রীঘরে! ভালবাসার টানে ভারতে এসে গ্রেফতার বাংলাদেশি যুবক
দমলকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করেন স্থানীয়রাও। সিভিল ডিফেন্সের টিমও আগুন নেভানোর কাজ হাত লাগান। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শীতের রাতে গৃহহীন হন বস্তির বহু বাসিন্দা।