আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কোন দিনটা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়? জানুন ও সতর্কতা নিন
একমাত্র বাঙালি কার্টুনিস্ট তিনিই যিনি ডি.লিট পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে নন্টে, ফন্টে, হাঁদা, ভোঁদা-বাঁটুল দি গ্রেটের মতো কার্টুনের স্রষ্টা তিনি। তাঁর তৈরি হাঁদা, ভোঁদা ৫৩ সপ্তাহ ধরে শুকতারা পত্রিকায় চলেছিল। ১৯৬৫ সালে বাঁটুল দি গ্রেটের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। সেই পরে জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছিল। এর পর ১৯৬৯ সালে নন্টে-ফন্টের সৃষ্টি করেন নারায়ণ দেবনাথ। অসংখ্য গ্রাফিক সিরিজ, কমিক্স সিরিজ তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৯২৫ সালে হাওড়ার শিবপুরে তাঁর জন্ম।
advertisement
আরও পড়ুন: ওরাকল স্পিকস ১৮ জানুয়ারি, দেখে নিন ভাগ্যফল, জানুন কোন চিহ্ন বয়ে আনছে আপনার সৌভাগ্য!
জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। ৯৮ বছরের শিল্পীকে রক্ত দিতে হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাসেও বেশ সমস্যা ছিল তাঁর। আগেই রাজ্য সরকার নারায়ণ দেবনাথের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছিল। গত ২৪ ডিসেম্বর হাওড়া শিবপুরের বাড়ি থেকে কলকাতার নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল তৈরি করে শিল্পীর চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তবে পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল কদিন আগেই। নারায়ণ দেবনাথের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকেরা।
আগেও একাধিক বার চিকিৎসার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ বারের সমস্যা আরও গুরুতর বলে মনে করছিলেন চিকিৎসকরা। শেষরক্ষা আর হল না। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বাঙালির অন্যতম প্রিয় সাহিত্যিক-শিল্পী-স্রষ্টা।