আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল সাংসদ অপরূপার অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালের ঘটনা, চার্জশিটেও তাঁর নাম নেই। সিবিআই অযথা হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন: ‘৩০০ কোটি…’ প্রাথমিক দুর্নীতিতে চমকে ওঠা রিপোর্ট সিবিআই-এর! জেলে নজরে থাকবেন কুন্তল
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নারদ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার জানিয়েছিলেন, তিনি সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাঁর নাম এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। গত ৮ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য মেলেনি বলেও দাবি অপরূপার। বুধবার আদালতে অপরূপা বলেন, সিবিআই এখনও সেই চিঠির কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ হানা শুভেন্দুর! সঙ্গে স্লোগান, ‘আর নেই দরকার…’, অফিসার নাকি পালিয়ে গিয়েছেন!
উল্লেখ্য, নারদ মামলায় প্রথম সারির অসংখ্য তৃণমূল নেতানেত্রীরা অভিযুক্ত হয়েছেন। কেউ কেউ আবার দলবদলও করেছেন। যেমন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদরা প্রয়াত হয়েছেন ইতিমধ্যে। তবু তদন্ত একচুলও এগোয়নি বলে অভিযোগ। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে আগে নারদ স্টিং অপারেশন ফাঁস হয়েছিল। বিজেপি পার্টি অফিস থেকে সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়। যদিও শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই ফুটেজ গেরুয়া শিবিরের ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল বলতে থাকে সারদা ও নারদে সিবিআই থেকে বাঁচতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। এবার সেই প্রেক্ষিতে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।