ডালহৌসি স্কোয়্যারের পাইস হোটেলের এই মালকিন এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তাঁকে নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন কলকাতার অজস্র ফুড ব্লগার। ব্যস্ত হাতে গরম ভাত, মুগের ডাল, তরকারি, ভাজা, মাছের ঝোল, মাংস কষা পরিবেশন করতে করতে তিনি কথা বলেছেন ব্লগারদের সঙ্গে। জানিয়েছেন, বাঙালের হাতে বাঙালদের রান্না খেতে আসতেই হবে তাঁর দোকানে।
ডালহৌসির সাবেক অফিসপাড়ায় সারি সারি খাবারের দোকান। তবে অন্য পাইস হোটেলের কর্ত্রীর সঙ্গে নন্দিনীর চেহারার বিন্দুমাত্র মিল নেই। পরনে ছাপা শাড়ি নয়। বরং সপ্রতিভ তন্বী নন্দিনীর অঙ্গে থাকে আধুনিক পোশাক। ঝকঝকে ভঙ্গিমায় কথা বলেন, আবার দোকানও সামলান।
advertisement
আরও পড়ুন : কয়েক টুকরোতে খণ্ডিত বিমান তিনটি পণ্যবাহী গাড়িতে পাড়ি দিল কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর
লকডাউন পর্বে মায়ের অসুস্থতায় কলকাতায় ফিরে আসেন নন্দিনী। পরবর্তীতে হাল ধরেন বাবার দোকানের। তাঁর বাবা চক্রধারী গঙ্গোপাধ্যায়ের এক সময় ছোট্ট রাবারের ব্যবসা ছিল। লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় সেই ব্যবসা। তার পর তিনি পাইস হোটেল শুরু করেন। এখন নন্দিনী ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় একলাফে বেড়ে গিয়েছে দোকানের জনপ্রিয়তা ও প্রচার। তাঁদের আধুনিক শিক্ষিতা মেয়ে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে রান্না করবে-এই দৃশ্যে আহত হননি চক্রধারী এবং তাঁর স্ত্রী বীণা। বরং, তাঁরা গর্বিত তাঁদের বড় মেয়েকে নিয়ে।
আরও পড়ুন : যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী, যাদের বাবা আলাদা
হিন্দি ও ইংরেজিতে সাবলীল পাইস হোটেল সামলান সকাল আটটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত। পাশাপাশি কথা বলতে হয় ভিড় করে থাকা ইউটিউবারদের সঙ্গে। তাঁরা সকলেই নন্দিনীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে লেন্সবন্দি করতে চান। ভাইরাল হয়ে গিয়ে ভালই লাগছে নন্দিনীর। তবে জানালেন, দায়িত্বও বেড়ে গেল অনেকটাই।