উত্তর খুঁজতে নিউজ এইট্টিন বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো প্রাঙ্গণে। দেখা গেল, প্যান্ডেল তৈরীর কাজ চলছে জোরকদমে। মন্ডপ প্রাঙ্গণে ক্লাবের ব্যানারে ব্যানারে ছয়লাপ। ডেকোরেটর কর্মী থেকে শিল্পী প্রত্যেকেই এখন দারুণ ব্যস্ত। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের ঘটনায় মন খারাপের মধ্যেও পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চান না ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, 'এই চরম ব্যস্ততার সময় পার্থদা আমাদের মাঝে নেই খারাপ তো লাগছেই। তবে এ বারও আমাদের পুজোয় চমক থাকবে। দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে ভিড় টানার নিরিখে আমরাই এগিয়ে থাকব'।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থর অবস্থা গুরুতর নয়, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিন ভুবনেশ্বর এইমস
সারা বছর মন্ত্রী। কিন্তু, পুজোর কটা দিন উদ্যোক্তা। নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর উদ্যোক্তা। পুজোর ক’টা দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায় একেবারে অন্য মেজাজে। কখনও সিংহাসনে বসে। কখনও বা ফিটন গাড়িতে। নাকতলা উদয়ন সংঘের এই পুজোর এবার ৩৮ বছর। খুঁটি পুজো হয়ে গিয়েছে। মণ্ডপের কাঠামোও প্রায় তৈরি। নাকতলায় এবারও থিমের পুজো। সেই কাজও পুরোদমে চলছে। এরই মাঝে পার্থর গ্রেফতারিতে কিছুটা হলেও তাল কেটেছে। শিক্ষকনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই এবার নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর কী হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। যদিও নাকতলা পুজা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, 'এতদিন আমরা যেভাবে পুজো করে এসেছি এবারও ঠিক একই ভাবেই পুজোর আয়োজন করা হবে'। শহর কলকাতার বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম নাকতলা উদয়ন সংঘ। চেতলা অগ্রণীর পুজো যেমন ববি হাকিমের, সুরুচি সংঘের পুজো যেমন অরূপ বিশ্বাসের, শ্রীভূমির পুজো যেমন সুজিত বসুর, নাকতলার পুজো মানেই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো হিসেবেই পরিচিত সকলের কাছে। সেই কমিটির প্রধান মুখ গ্রেফতার হওয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন: পেরিয়ে গেছে ৩ ঘণ্টা, ঢুকতে দেওয়া হয়নি আইনজীবীদের, পার্থর হল একাধিক টেস্ট
যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, 'এক নতুন সূর্যের ভোর এবারে বাংলার দুর্গাপুজোতে। আমাদের দুর্গাপুজোর মুকুটে এসেছে নয়া পালক। ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলার দুর্গাপুজো । আর এই সময় দাঁড়িয়ে বাংলার পুজোর মুখ নাকতলা উদয়ন সংঘ নতুন করে তাদের সৃষ্টি তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর' ।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী
