রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর উৎসবের মরশুম শুরুতেই নবান্ন বিশেষ সতর্ক। তাই প্রতিটি আবেদন জয়েন্ট ইন্সপেকশন করে তারপর স্থায়ী ও অস্থায়ী লাইসেন্স দিতে বলা হয়েছে। ৭১২টি আবেদন জয়েন্ট ইন্সপেকশনে পাঠানো হয়েছে। ১১৬টি আবেদন ফেরত পাঠানো হয়েছে আবেদনকারীর কাছে তথ্য অসম্পূর্ণ থাকার জন্য। অন্য দিকে শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে মুখ্যসচিব বাজি নিয়ে একটি গুরত্বপূর্ন বৈঠক করেন।
advertisement
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ ও বাজি ব্যাবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। কলকাতার তিনটি বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের যাদের মধ্যে ছিলেন টালা গ্রিন বাজি বাজার, কালিকাপুর বাজি বাজার এবং বেহালা বাজি বাজারের মুখ্য পৃষ্ঠপোষকরা। এই তিন বাজি বাজারের কর্তারা এই বছর থেকে পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির ছাতার তলায় এসে একযোগে ব্যবসা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সমিতির রাজ্য সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না জানিয়েছেন “উপনগরপাল এবং নগরপালের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনটি জায়গাতেই কালীপুজো বা দীপাবলীর ঠিক আগেই আগামী সাত দিনের জন্য গ্রিন বাজির বিপণনে অস্থায়ী দোকান বসতে চলেছে।’’
কিন্তু কলকাতার বাজি ব্যবসায়ীদের সবথেকে বড় প্রশ্ন ছিল গ্রিন ক্র্যাকার্স মজুত কোথায় হবে? নগরপাল আশ্বস্ত করেছেন কলকাতা পুলিশ-সহ সমিতির সদস্যরা একযোগে বাজি মজুদের জন্য কোন পরিত্যক্ত বাড়ি অথবা কর্মতীর্থের খোঁজ চালাবে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতায় বাজি বাজার নিয়ে যে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল তা আপাতত মিটল।
তবে এ বছর কলকাতা পুলিশের নির্দেশ মেনে দু’টি স্টল বা অস্থায়ী দোকানের মধ্যে ১০ ফুটের ব্যবধান থাকবে। ফলে তিনটে অস্থায়ী গ্রিন বাজি বাজারে দোকান সংখ্যাও কমতে পারে। অন্য দিকে জেলাশাসকদের ইতিমধ্যেই বাজি বিক্রি করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ নবান্নের তরফে দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স ছাড়া কোনও ভাবেই বাজি বিক্রি করা যাবে না। নবান্ন সূত্রে খবর শুক্রবার মুখ্য সচিবের বৈঠকে সেই বিষয়ে আরও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়