রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের তোলা চার দফা শর্ত কার্যত খারিজ করে দেওয়া হল৷ ফলে জটিলতা কাটার বদলে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মধ্যে চলতে থাকা স্নায়ুর লড়াই আরও জটিল হল বলেই মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: ‘ধর্মযুদ্ধ জিততে হবে, শুধু তুমি ফিরে আসবে বলে…’, লিখলেন নিহত মহিলা চিকিৎসকের বিশেষ বন্ধু
advertisement
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছিলাম যাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরে এসে পরিষেবা দিতে শুরু করুন৷ আমরা গঠনমূলক এবং খোলামেলা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম৷ নিরাপত্তা নিয়ে চিকিৎসকদের যে মূল দাবি ছিল, তার জন্য আমরা কী করেছি তা ওনাদের জানাতাম৷ ওনাদের পরামর্শও আমরা শুনতাম৷ কিন্তু আমরা ওনাদের থেকে ইতিবাচক উত্তর পাইনি৷ যে ই মেল পাঠানো হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে, তাতে চারটি শর্ত, পাঁচ দফা দাবির কথা বলা হয়েছে৷ কোনও শর্ত রেখে আলোচনা করা যায় না৷ পারস্পরিক মত বিনিময় করতে চেয়েছিলাম আমরা৷ যাতে সমস্যাগুলি দূর করা যায়৷ কিন্তু চিকিৎসকদের থেকে সাড়া না মেলায় আজকেও আলোচনা করা গেল না৷’
মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এ দিন বার বারই বলেছেন, রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের কাজে ফেরা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিতে চায়৷ আলোচনার জন্য রাজ্য সরকার আদৌ আর জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করবে কি না, সেই প্রশ্নেরও সরাসরি কোনও জবাব দেননি মন্ত্রী বা পুলিশ প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা৷ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, ‘কিছু দাবি মানলেই আলোচনা হবে, এ ভাবে কথা এগোতে পারে না৷ আমরা আশা করব সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে, আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে চিকিৎসকরা কাজে ফিরবেন৷’
যে চার শর্তের কথা জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বৈঠকে অন্তত ৩০ জন প্রতিনিধিকে অংশ নিতে দেওয়ার দাবি৷ দ্বিতীয়ত, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে৷ তৃতীয় শর্তে বলা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পরে জুনিয়র চিকিৎসকদের তোলা পাঁচ দফা দাবির উপরেই আজকের আলোচনা চালাতে হবে৷ এবং সর্বশেষ শর্ত হিসেবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা৷