বৈঠকে ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা-সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলাপ্রশাসনের কর্তারাও। সেখানেই এই জিপিএস ট্র্যাকিং নিয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকলে ভেসেল যাতে আটকে না যায়, সেকারণে তাতে ন্যাভিগেশন লাইটের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যেহেতু গতবারের তুলনায় এবার পুন্যর্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তাই শুরু থেকেই পিলগ্রিম ট্র্যাকিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে কাজে লাগতে চায় প্রশাসন।
advertisement
বাবুঘাট-সহ সব প্রান্ত থেকে সাগরযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত সরকারি ও বেসরকারি গণপরিবহণেই ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। নজরদারির জন্য চালু করা হচ্ছে মেগা কন্ট্রোলরুমও। গতবারের গঙ্গাসাগরের মেলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জানুয়ারি মাসে গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন।
সেক্ষেত্রে আগামী মাসেই সাগরমেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিকে কোনও পুন্যার্থী যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা থাকছে অন্যান্যবারের মতো।
আরও পড়ুন, অসুস্থ শয়ে শয়ে শিশু, করোনার মতোই বিপদ ডেকে আনবে চিনের নতুন ভাইরাস?
আরও পড়ুন, পাইপে আটকে অগার মেশিন, আনা হল প্লাজমা কাটার! জটিল হচ্ছে উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ?
ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে তৈরি হয়েছে স্থায়ী হেলিপ্যাড। গতবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার সময় স্থায়ী হেলিপ্যাডে এর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি গতবারে থেকে এবার পূর্নার্থী দের জমায়েত আরো বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি এবারও বিশেষ ব্যান্ড লাগানো থাকবে দর্শনার্থীদের হাতে। সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার জন্য আরও এক দফা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে।
নবান্নের শীর্ষ মহলের তরফে সেই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত এলে নিরাপত্তা নিয়ে আরো এক দফা এগোনো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকে আরও একটি জেটি করার কথা ও জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে। যদিও সেই জেটি তৈরি করা সময় সাপেক্ষে বলে মেনে নিয়েছে নবান্ন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়