নির্যাতিতার মা জানান, ‘‘আমরা তো নিরস্ত্র, আপনাদের এত ভয় কীসের? কপালে পিঠে মারা হয়েছে৷ রাস্তায় ফেলে মারা হয়েছে। আমি নবান্নে যেতে চাই। কেন আমাকে মারা হল, কেন আমার মেয়েকে তাঁর কাজের জায়গায় খুন করা হল।’’ নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘‘পুলিশ ১ বছর ধরে আমাদের উপরে অত্যাচার করছে। আমরা পুলিশের সঙ্গে। ধর্মতলা থেকে মিছিল করে আসার সময় পুলিশ আটকেছে।’’
advertisement
নির্যাতিতার মা আরও জানান, “পুলিশ আমার কপালে আঘাত করেছে। আমরা নিরস্ত্র ছিলাম ,তারা আমাদের ভয় পাচ্ছে কেন? চার-পাঁচজন পুলিশ আমাকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। আমার হাতের শাঁখা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে। এবার কি স্বামীকে কাড়বে?” প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার মায়ের চিকিত্সক জানিয়েছেন, তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে, এমআরআই করতে হবে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে আঘাত কতখানি গুরুতর। আর তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভর্তির বিষয়ে।
নির্যাতিতার মায়ের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রথম কাজ এখন নির্যাতিতার মা-বাবা, আক্রান্তদের সুস্থ করা। পরবর্তী কর্মসূচি অভয়ার বাবা মা, আমাদের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য ঠিক করবেন আলোচনা করে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘জাতীয় পতাকা পায়ে মারিয়েছে এই মমতা পুলিশ। ছাড়ব না এদের। টালা পার্কের পুলিশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচায়নি।’’
অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা আন্দোলন অবস্থান ধর্না তুলে নিচ্ছি। কারণ জুনিয়র চিকিৎসকরা কালীঘাট চলো অভিযানের ডাক দিয়েছেন।ওরা যান ব্যারিকেড ভাঙ্গুন, আমরা সঙ্গে আছি সকলের। প্রাক্তন করব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মনোজ ভার্মাকে জেলে ঢোকাব।’’