একটি পুরসভার জন্য একাধিক ডেপুটি মেয়র নিয়োগ করতে চেয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়েছিল আগেই। তারপরে, বিষয়টিতে স্বীকৃতি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে। সেই সময় ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত ছিল রাজ্য রাজনীতির আলোচনার অন্যতম বিষয়। এই একাধিক ডেপুটি মেয়রের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলেও সম্মতি দেননি ধনখড়। ফেরত পাঠিয়েছিলেন। তাঁর মত ছিল, পুরনিগম পিছু ডেপুটি মেয়রের সংখ্যা কখনওই দুইয়ের বেশি থাকা উচিত নয়। সেই সময় আইনি স্বীকৃতি না মিললেও আসানসোল পুরসভার ২ ডেপুটি মেয়রই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন, বঙ্গোপসাগরের ওপর গতি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, কলকাতায় ঝপঝপ করে নামবে তাপমাত্রা
আরও পড়ুন, শুধু মেসি-দি মারিয়া নন, আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ দিতে পারে এই ৫ তারকা
তবে, এবার ধনখড়ের সেই পরামর্শই মেনে নিল রাজ্য। অবশেষে জটিলতা কাটল অন্তর্বর্তিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশনের আমলে। রাজ্যপাল স্বীকৃতি দেওয়ায় পাশ হল বিল। বিধানসভায় বিল পাশ হওয়ায় খুশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "এখন বেশ কয়েকটি পুরসভার এলাকা বেড়েছে। কাজের সুবিধার জন্য ডেপুটি মেয়রের সংখ্যাও একাধিক হওয়া দরকার। আমরা রাজভবনে বিল পাঠিয়েছিলাম। তখন সেটা ফেরত আসে। বলা হয়, দুজন ডেপুটি মেয়র নিয়োগ করার জন্য। আমরা দুজন করেছি। আসানসোলে আমাদের দুজন ডেপুটি মেয়র আছে।"
সূত্রের খবর, পুরনিগমগুলিতে দুজন ডেপুটি মেয়র রাখার কথা বলা হলেও কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্যের। তবে, রাজ্যের পাঁচটি পুরনিগমে প্রশাসনিক পদে বদল আনতে চলেছে পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রক। এবার থেকে ওই পুরনিগমগুলিতে একজনের পরিবর্তে দুজন করে ডেপুটি মেয়র রাখা হবে। চলতি সপ্তাহে রাজ্য বিধানসভায় একটি নতুন বিল আনতে পারে সরকার। যেখানে এই পাঁচটি পুরনিগমে দুজন করে ডেপুটি মেয়র রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। এই পুরনিগমগুলি হল- বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং দুর্গাপুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার পুরআইনে সংশোধনী আনতে চলেছে। এর ফলে নাগরিকদের দ্রুত এবং আরও ভাল পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বলেন, "দুইজন ডেপুটি মেয়র থাকা পুরনিগম আরও দক্ষভাবে পরিষেবা সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।" যদিও, বিজেপি নেতারা এটিকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকানোর কৌশল বলেই দাবি করেছেন।