তৃণমূলে একসময় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু তিনি বিজেপিতে চলে গেলে সেই পদে নতুন করে কাউকে বসানো হয়নি। তবে, এবার বিধানসভা ভোটে অসাধারণ সাফল্যের পর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে অভিষিক্ত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেকই ছিলেন এবারের নির্বাচনে অন্যতম যোদ্ধা। সেই যুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে জিতেছেন অভিষেক। তাই সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক রদবদল করে অভিষেককে দলীয় সংগঠনের শীর্ষে বসানো হয়।
advertisement
এরপরই মুকুল পত্নীকে দেখতে হাসপাতালে যান অভিষেক। তখন থেকেই তৃণমূলে ফের মুকুল-আগমন নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। আর সেই জল্পনাকে সত্যি করেই ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছিল, মুকুলকে কী কাজে লাগাবে তৃণমূল? জানা গিয়েছে, রাজ্য জিতে এবার কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদিকে সরানোর 'প্রতিজ্ঞা' করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার জন্য সমস্ত বিরোধী দলকে একসূত্রে গাঁথা খুবই জরুরি। এমনকী ভিনরাজ্যে সংগঠন বাড়ানো এবং ভোটে জেতার মতো পরিস্থিতির লক্ষ্যও নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আর সেই কাজে মুকুল রায় অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।
মমতার হাত ধরে দীর্ঘদিন রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন মুকুল। সামলেছেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও। আর সেই সূত্রেই সর্বভারতীয় স্তরে মুকুলের পরিচিতি কাজে লাগবেই তৃণমূলের। একইসঙ্গে ভিনরাজ্যে, বিশেষত ত্রিপুরায় মুকুল রায়ের প্রভাব রয়েছে। আর ত্রিপুরাকে নিজের লক্ষ্যে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে মুকুলকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতেই হত তৃণমূল। শাসক দল সূত্রে খবর, মুকুল রায় যে মাপের নেতা, তাতে বড় পদই তাঁর জন্য প্রত্যাশিত। এমনকী শনিবার অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকেও মুকুল রায় তাঁর 'সর্বভারতীয়' পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন বলে খবর। আগামীদিনে তৃণমূলে সমস্ত বড় কর্মসূচিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে 'চাণক্যকে'।