মুকুল রায়কে নিয়ে যখন ফের তোলপাড় পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে, সেই সময় মুকুল সাফ বললেন, ''বিজেপি করব। দল চাইলে আমাকে দিয়ে কাজ করাতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করতে ইচ্ছুক। বাংলায় যা চলছে, তা মোটেই ভালো নয়।'' কেন তিনি দিল্লি এলেন, কার সঙ্গে দেখা করবেন, এ বিষয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রেখেই তিনি বলেন, ''কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি, এখনও সময় পাইনি। শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা হয়েছে। আজও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ, ঘুম ছুটেছে এক প্রধান শিক্ষকের! অন্য কাণ্ড রঘুনাথগঞ্জে, স্কুলের ভিতরে কী আছে?
মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ছেলে শুভ্রাংশুর অভিযোগ, তাঁকে কেউ ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে। অপরদিকে মুকুল রায় দাবি, করছেন তিনি সাবলম্বী, তিনি স্বইচ্ছায় দিল্লি এসেছেন। এই নিয়ে যখন টানাপোড়েন চলছে, তখন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ''বাবা কেমন আছে সেই খোঁজটা আমি পাচ্ছি না। ওষুধপত্র ঠিকঠাক খাচ্ছে কিনা সেটা জানতে পারছি না। খুব চিন্তায় আছি। বাবা রাজনীতির সূত্রে বরাবরই বাইরে থাকত।''
আরও পড়ুন: দেখতে তো ট্যাবলেট, কিন্তু আসলে এগুলো কী জানেন! বাগদার ঘটনা গোটা বাংলার জন্য ভয়ের
যদিও মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন. তাঁর বাবার স্মৃতিভ্রম হয়েছে। মুকুল রায়ের দিল্লি সফর নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "তাঁর যদি এত শারীরিক অসুস্থতা থাকে এবং তিনি যদি মানসিকভাবে ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পারেন তাহলে তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হল কেন? মুকুল রায় বিজেপিতে এলেন না গেলেন, তা নিয়ে আমাদের কোনও দুশ্চিন্তা নেই।" তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, " এমন একজনকে কোনও হোমে পাঠানো হচ্ছে না কেন? এই ধরণের মানুষ যে কোনও সময়ে বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন। এমন একজনকে তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে রাখার কারণ কী?" অন্যদিকে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, " বাবার স্মৃতিভ্রম হয়েছে। নাতি নাতনির নাম বলতে পারেন না। যোগ বিয়োগ করতে পারেন না। নিজের জন্মতারিখ বলতে পারেন না।" যদিও মুকুল রায় স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি বিজেপিতে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।