বড়দিনে মানুষের ভিড়, প্রেম, ধর্ম, ভালোবাসা মিলেমিশে গির্জায় জড়ো হওয়ার কথা প্রতিবার। সেখানেই আর্জি জমায় ফুলের চাহিদা। প্রিয়জনকে ফুল দেওয়ার আনন্দ বুকে নিয়ে এদিন রাস্তায় নামে কতজন প্রেমিক তা গুনতে গিয়ে অহেতুক পাগল হওয়ার দরকার নেই! সেই ফুলেরই পসরা সাজিয়ে বসেছেন মঞ্জিলা মোল্লা, শহরে তাঁর দিদির বাড়ি৷ সেখানেই কয়েকদিন থাকবেন তাঁর সাড়ে ৩ বছরের ছোট্টো শিশু মেহেতাব হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েই ২২ গজে তাণ্ডব চালালেন ঈশান কিষাণ! ভেঙে দিলেন বৈভবের রেকর্ড
২৪ ডিসেম্বর ক্যাথিড্রালের বাইরে গোলাপ, সূর্যমুখী ফুল বিক্রি করছেন তিনি৷ চঞ্চল মেহেতাবকে শান্ত রেখেছেন নিজের মোবাইল ফোনটি দিয়ে। ছোট্ট শিশু মাথায় পরেছে সান্তার টুপি, মোবাইল চোখ রেখে কখনও দেখছে স্পাইডারম্যান, কখনও কার্টুন, আর সান্তাক্লজের স্লেজ গাড়ি করে আসা ভিডিও। বড় হয়ে সে হতে চাই ডাক্তার৷
আরও পড়ুন: এবার কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সের সর্বকালের রেকর্ড ভাঙলেন বৈভব! ইতিহাস ১৪ বছরের তারকার
মা মঞ্জিলা বললেন, “আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। তারপর বিয়ে হয়ে গিয়েছে, স্বামী পেয়ারা বাগানে কাজ করেন। বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ি আছেন, আমি নিজে সারা বছর করঞ্জা ফুলের দানা বার করার কাজ করি। এই উৎসবের সময় কলকাতায় আসি, চার পাঁচ দিন থাকব, ব্যবসা মন্দ হয় না৷ এই বছর সূর্যমুখী ফুলের চাহিদা খুব৷” ভালোবাসা জন্মালে ফুল ফোটে বিশ্বাস করেন তিনিও। স্বামী একদিন আসবেন কলকাতা তাঁকে নিয়ে যেতে। সেদিন ছেলে স্বামীকে নিয়ে কোথাও একটা ঘুরতে যাবেন মঞ্জিলা, এই তাঁর ছোট্ট একটু সাধ।
কথা বলতে বলতে দেখলাম রঙিন আলো জ্বলে আরও ঝকমক করছে চার্চের বাইরেটা। ভিড় জমেছে আরও অনেক। কেউ তুলছেন সেলফি। কেউ কেউ সান্তা টুপি পরে চার্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। মঞ্জিলা কিছু সূর্যমুখী ফুল বেঁধে রাখছেন তার দিয়ে। পাশে তাঁর ছোট্ট যিশু, শিশুর মতো নিষ্পাপ।
