নিজাম প্যালেস ও সিজিও কমপ্লেক্সে চলছে স্যানিটাইজেশন। সরকারি বিধি মেনে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে দফতর চলছে। অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট ১১৭ পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক করোনা আক্রান্ত। তাঁদের বেশিরভাগই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আইপিএস থেকে বিভিন্ন থানার ওসি, অ্যাডিশনাল ওসি, সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল মিলে মোট একশো ১১৭জন করোনায় আক্রান্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশের মধ্যে কলকাতাতেই করোনার পজিটিভি সবথেকে বেশি, জানালো কেন্দ্র
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কসবা থানার অফিসার-ইন-চার্জ সৈকত নিয়োগী, সাব ইন্সপেক্টর-সহ মোট ৩জন করোনা পসিটিভ। ভবানীপুর থানার জনা ২৫ পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিক করোনা পজিটিভ। বেনিয়াপুকুর থানা, একবালপুর থানা-সহ শহরের একাধিক থানার আধিকারিক এবং পুলিশকর্মী আক্রান্ত। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২২। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিনিয়র অফিসার ৩জন করোনা পসিটিভ। ওসি পাঁচ জন ও বাকি চোদ্দ জন সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল পদমর্যাদার।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রাজ, পরমব্রত! মহামারীর আবহে স্থগিত কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব
সিআইডি আইজি ওয়ান আনন্দ কুমার, ডিআইজি সিআইডি অপারেশন মিরাজ খালিদ, সিআইডি এসএস সাইবার প্রদীপ যাদব করোনা আক্রান্ত। এ ছাড়াও সাইবার ওসি, অ্যান্টি চিটিং-সহ একাধিক বিভাগের অফিসাররা করোনা আক্রান্ত। এ ছাড়াও চোদ্দ জন রাজ্য পুলিশের এসআই, এ এসআই, কনস্টেবল সংক্রামিত হয়ে হোম আইসোলেশনে। অনেকের টেস্ট রিপোর্ট এখনও আসেনি। তাই তাঁদের রিপোর্ট এলে সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা সিআইডি কর্তাদের।
আরও পড়ুন: এবার হোম আইসোলেশন মাত্র ৭ দিন ! সহজ হল নিভৃতবাস থেকে মুক্তির নিয়মও
ভবানী ভবনে চলছে স্যানিটাইজেশন। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের থানা ও লালবাজারে স্যানিটাজেশন করা হচ্ছে। একের পর এক পুলিশ কর্মী থেকে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বা কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা যেভাবে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাতে সত্যি চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কপালে। কারণ এই পুলিশ কর্মীরাই রাত দিন এক করে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেন। সেখানে যে ভাবে মানুষের মধ্যে এখনও অসচেতনা ছবি প্রকাশ্যে আসছে তাতে যাঁরা মানুষকে নিরাপত্তা দেন, তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশকর্তাদের অনেকেরই আশঙ্কা, করোনা গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। তাতে থানা থেকে গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে ডিপার্টমেন্ট চালানোই না কঠিন হয়ে পড়ে!
Arpita Hazra