বিচারকের যুক্তি, ৮ বছর ধরে ঝুলে মামলা। কলকাতা হাইকোর্টও প্রাপ্য খোরপোষের টাকার ৪০% দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও নিজেকে এড়িয়ে যাওয়া মামলা থেকে। মুম্বই পা জমানো এস কেডিয়া'র সংস্থা থাকলেও, সেই ঠিকানায় গিয়েও তার কোন হদিশ পাননি তাঁর স্ত্রী। সরশুনা থানায় থাকাকালীন স্ত্রী গার্হস্থ্য আইনে মামলা করেন। মাসে ৪৫০০০ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালতের অষ্টম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
advertisement
আরও পড়ুন - কাটামুণ্ড উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য, পুরসভার পার্কিং জোনের পাশেই নর্দমায় দেখা গেল সেই দৃশ্য
সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কোলকাতা হাইকোর্টে যান আর্থিক বিশ্লেষক স্বামী। হাইকোর্ট টাকা দেওয়ার নির্দেশ কিছুটা পরিবর্তন করে দেয়। এরপরেও নিজেকে বারবার এড়িয়ে রাখা৷ আইনজীবী অর্ণব দাস জানান, দীর্ঘ সময় আদালতে বিভ্রান্তিকর অবস্থান দেখানোয় আদালত কড়া হতে বাধ্য হয়। আলিপুর আদালত কলকাতা ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দেন, মুম্বই থেকে স্বামীকে ধরে আনার।
আরও পড়ুন - Healthy Lifestyle: এই শীতে হুড়মুড়িয়ে কমিয়ে ফেলুন বাড়তি ওজন, রইল ড্রিঙ্কসের রেসিপি
আদালতের নির্দেশ মেনে মুম্বই পৌঁছে যায় সরশুনা থানার একটি দল। সেখানে দিন সাতেকের চেষ্টায় খোঁজ মেলে স্বামী-র। মুম্বই থেকে অর্থ বিশ্লেষককে কলকাতায় আনা হয় সোমবার। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের ৯ম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয় তাকে। আলিপুর আদালত, গার্হস্থ্য আইনে খরপোষের বকেয়া ১৩ লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার শেষ সুযোগ দেয় অভিযুক্তকে। ২ লক্ষ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি স্বামী।
আইনজীবী অর্ণব দাস জানান, বকেয়া টাকা দিতে না চাওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। বকেয়া টাকা না দেওয়ায় জেলযাত্রার উদাহরণ নতুন কিছু নয়। তবে মুম্বইয়ে অর্থের বাজার বিশ্লেষণের কারবারি'র জেলযাত্রা সাম্প্রতিক সময়ে দৃষ্টান্তমূলক বলছেন, অনেক আইনজীবী।