দিনের শেষে মন্ত্রী মলয় ঘটক অবশ্য দাবি করলেন, কলকাতায় তাঁর সরকারি আবাসনে হানা দিয়ে সাকুল্যে নগদ ১৪ হাজার টাকা পেয়েছে সিবিআই৷ 'নগণ্য' এই অঙ্কের টাকা সিবিআই আধিকারিকরাও বাজেয়াপ্ত করার উৎসাহই দেখায়নি সিবিআই৷ অন্তত এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী৷
এ দিন সকাল থেকে দেখা গিয়েছিল, মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই৷ মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, কলকাতায় সরকারি বাস ভবন ছাড়া তাঁর আসানসোলের বাড়িটি শরিকি সম্পত্তি৷ ফলে সেটির মালিকানা তাঁর একার নয়৷ এ ছাড়াও লেক গার্ডেন্সে যে বাড়িতে তাঁর ছেলে থাকেন, সেটি ব্যাঙ্ক থেকে ৮৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী৷
advertisement
আরও পড়ুন: একে একে নিশানায় পার্থ-অনুব্রত-মলয়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলল তৃণমূল!
মলয় ঘটক এ দিন দাবি করেছেন, তাঁর সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ পাশাপাশই তাঁর তিনটি মোবাইল হ্যান্ডসেটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ যদিও ফোনের সিমগুলি তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
এ দিন সন্ধ্যায় মন্ত্রীর দাবি, 'যে ১৪ টাকার কথা বলছি, তা আমার পকেটেই এখনও আছে৷ টাকার পরিমাণ এতই কম, সিবিআই অফিসাররা আর তা বাজেয়াপ্ত করেননি৷ আমাকে ইডি ডেকেছিল, হাজিরা দিয়েছি৷ সব কাগজ জমা দিয়েছি৷ কিন্তু সিবিআই-এর আচরণ আমাকে অবাক করেছে৷ আমাকে না একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হল, না জেরা হল৷ অথচ এ দিন সকাল আটটার সময় হঠাৎ আমার আবাসনে হাজির হলেন ওরা৷ তখন আমি ঘুমোচ্ছিলাম৷'
আইন মন্ত্রীর দাবি, তাঁর দফতর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল ঘেঁটে দেখেন সিবিআই অফিসাররা৷ এই তল্লাশির জন্যই দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকেও যোগ দিতে পারেননি তিনি৷
দিনভর সিবিআই তল্লাশি চললেও মলয় ঘটক অবশ্য আত্মবিশ্বাসী৷ তাঁর দাবি, বদনাম করতেই এই ধরনের অভিযান চলছে৷ আত্মবিশ্বাসী আইনমন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি সমর্থক বাদে আসানসোলের কেউ যদি বলে আমি কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত, রাজনীতি ছেড়ে দেব৷'
প্রসঙ্গত, এ দিন মলয় ঘটকের স্ত্রীও আসানসোলে দাবি করেন, তল্লাশির সময় মন্ত্রীর সাধারণ বাড়িঘর দেখে অবাক হয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরাও৷