আরামবাগ মহকুমা গঠিত হয় ১৮১৯ সালে এবং তখন এর নাম ছিল জাহানাবাদ। ১৯০০ সালের ১৯ এপ্রিল, প্রশাসনিক কারণে জাহানাবাদের নাম পরিবর্তন করে আরামবাগ রাখা হয়। এই মহকুমাটির একটা বড় অংশ দামোদর–দ্বারকেশ্বর নদীর পলিমাটি দ্বারা গঠিত সমভূমি এবং সম্পূর্ণ মহকুমাটি গাঙ্গেয় ব–দ্বীপ এর একটি অংশ। আরামবাগ মহকুমাটি ১৮১৯ সালে গঠিত হয়। ১৯০০ সালের ১৯ এপ্রিল এই মহকুমার নাম পরিবর্তন করে আরামবাগ করা হয় যার অর্থ আরাম-এর বাগান।আরামবাগ মহকুমা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক মহকুমা। এই মহকুমা ৬ টি ব্লক ও একটি পুরসভা এলাকা নিয়ে গঠিত। মহকুমার সমস্ত ব্লকে শতভাগ জনসংখ্যা গ্রামাঞ্চলে বাস করে। আরামবাগ পুরসভা এলাকাটি হল আরামবাগ মহকুমার একমাত্র শহরাঞ্চল।
advertisement
আরামবাগ মহকুমার অন্তর্গত উন্নয়ন ব্লকগুলি নিম্নরূপ-১) আরামবাগ ২) পুরশুড়া ৩) খানাকুল ১৪) খানাকুল ২৫) গোঘাট ১৬) গোঘাট ২। তারকেশ্বর শিব মন্দির একটি তীর্থস্থান এবং শিবরাত্রির জন্য বিখ্যাত। আরামবাগের রাধানগর সুপরিচিত সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থান। একটি নাড়াজোল রাজবাড়ি একটি বিশাল প্রাসাদ এবং একটি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এখানে অবস্থিত।১৭৯৫ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনিক কাঠামোয় বর্ধমান জেলাকে বিভাজিত করে উক্ত জেলার দক্ষিণাংশ নিয়ে হুগলি জেলা গঠিত হয়।
১৮৭৯ সালের আগে এই জেলা দু’টি মহকুমায় বিভক্ত ছিল: সদর ও শ্রীরামপুর মহকুমা। ১৮৭৯ সালে জাহানাবাদ নামে একটি পৃথক মহকুমা গঠিত হয়। কিন্তু গয়া জেলায় (অধুনা বিহার রাজ্যে অবস্থিত; কিন্তু তৎকালে বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল) একটি জাহানাবাদ থাকার কারণে ১৯০০ সালে জাহানাবাদ মহকুমার নাম পরিবর্তন করে আরামবাগ মহকুমা রাখা হয়। এর আগেই ১৮৮৬ সালে আরামবাগ পুরসভা গঠিত হয়। সাহিত্যিসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অতীতে এই মহকুমার মহকুমাশাসক পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এখানকার গড় মান্দারনের একটি দুর্গের প্রেক্ষাপটে তিনি তাঁর ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৬৫ সালে।