পদ্মভূষণ সম্মান পেয়ে এদিন প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান মিঠুন চক্রবর্তী৷ ভিডিও বার্তায় মিঠুন চক্রবর্তী জানালেন, ‘‘আমি গর্বিত, আমি আনন্দিত এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য। আমি আমার জীবনে কখনও নিজের জন্য কারোর কাছ থেকে কিছু চাইনি। তাই কিছু না চেয়ে পাওয়ার যে আনন্দ আজ যে কতটা হচ্ছে আজ তা উপলব্ধি করছি।’’
মিঠুন এ-ও বলেন, ‘‘পুরস্কার পাওয়ায় দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। এই সম্মান দেশ এবং বিদেশের আমার ফ্যান এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসর্গ করছি। যাঁরা এতদিন ধরে আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছেন এবং এখনও ভালবেসে চলেছেন। আমাকে যে সম্মান দেওয়া হল, সেই সম্মান পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। যাঁরা আমাকে মনোনীত করলেন, তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা রইল।’’
advertisement
মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও বাংলা থেকে এবছর পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন আরও চার বাঙালি৷ তাঁরা হলেন পুরুলিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাজি এবং ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধর। যদিও নেপাল ২০২৩ সালে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি মরণোত্তর সম্মান পাবেন।
এ ছাড়াও, বাংলার পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতার মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল এবং বীরভূমের ভাদু শিল্পী রতন কাহারের।
আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু পুরুলিয়ার সিন্দ্রি গ্রামের বাসিন্দা৷ সাইকেল টেনে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাছ লাগিয়ে বেড়ান দুখু৷ এলাকায় তাঁর পরিচয় ‘গাছ দাদু’ হিসাবে৷
এ বছর মোট ৩৪ জন কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী কিংবা সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেওয়া হচ্ছে রাজনীতিক বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে৷ পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবীও৷
আরও পড়ুন: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন! তার আগে ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে মাসের শেষেই উত্তরবঙ্গে মমতা
পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন দেশের প্রথম মহিলা মাহুত অসমের পার্বতী বড়ুয়া। ছত্তিশগঢ়ের জশপুরের আদিবাসী উন্নয়নকর্মী জগেশ্বর যাদবকে দেওয়া হবে পদ্মশ্রী সম্মান। আদিবাসী পরিবেশবিদ এবং নারী উন্নয়নকর্মী ঝাড়খণ্ডের চামি মুর্মুও ভূষিত হচ্ছেন পদ্মশ্রী সম্মানে।
পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন হরিয়াণার সমাজকর্মী গুরবিন্দ্র সিংহ, কেরলের কাসরগোড়ের কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি, মিজ়োরামের আইজ়লের সমাজকর্মী সংথানকিমা। ছত্তিশগঢ়ের নারায়ণপুরের প্রাচীন ওষধি চিকিৎসক হেমচাঁদ মাঞ্জি।
পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায় আছেন দক্ষিণ আন্দামানের জৈব কৃষক কে চেল্লাম্মাল, অরুণাচল প্রদেশের ভেষজ ওষুধ বিশেষজ্ঞ ইয়ানুং জামো লেগো, মাইসুরুর আদিবাসী উন্নয়নকর্মী সোমান্না, অসমের আদিবাসী কৃষক সর্বেশ্বর বসুমাতারি, বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক প্রেমা ধনরাজ, ক্রীড়াবিদ উদয় বিশ্বনাথ দেশপান্ডে, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়াজ়দি মানেক্সা ইটালিয়া।
এ ছাড়াও আছেন শিল্পী দম্পতি শান্তিদেবী পাসওয়ান, শিবান পাসওয়ান, পট শিল্পী অশোক কুমার বিশ্বাস, নৃত্যশিল্পী বালকৃষ্ণান সদানম পুথিয়া ভিটিল, সংস্কৃত আবৃত্তি শিল্পী উমা মহেশ্বরী ডি, ওড়িশার কৃষ্ণলীলা গায়ক গোপীনাথ সোয়াইন।
ত্রিপুরার শাল তাঁতি স্মৃতিরেখা চাকমা, ওমপ্রকাশ শর্মা, কুন্নুরের লোকশিল্পী নারায়ণ ইপি, ওড়িশার লোকশিল্পী ভগবত প্রধান, কোয়েমবত্তূরের লোকশিল্পী বদ্রপ্পান এম, বাঁশ শিল্পী জর্ডন লেপচা, মণিপুরের মচিহান সাসা, তেলঙ্গানার গড্ডাম সাম্মাইয়া, রাজস্থানের বহুরূপী শিল্পী জানকীলাল, তেলঙ্গানার দসরি কোন্ডাপ্পা এবং বাবুরাম যাদবও পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।