আরও পড়ুন: বছরব্যাপী আন্দোলনের অবসান, অবশেষে ঘরে ফিরছেন কৃষকরা! খালি হতে চলেছে সিঙ্ঘু সীমান্ত...
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপির জনসভায় মঞ্চ থেকে ফিল্মি সংলাপ দেওয়ার জন্য উত্তর কলকাতার মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর উপস্থিতিতেই ছবির সংলাপ বলে আইনি জটিলতায় জড়াতে হয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)।
advertisement
মানিকতলা থানায় দায়ের করা এফআইআর অনুসারে ওই সংলাপগুলি হিংসাতে উস্কানি দিয়েছে। এই মামলায় মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরেই অভিযোগগুলি অযৌক্তিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে এফআইআরগুলি খারিজ করার একটি আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) শরণাপন্ন হন। সেই মামলাতেই আজ রায় দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
আরও পড়ুন: ৪৫% দগ্ধ! চপার দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং! কেমন আছেন তিনি?
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন অনেক অভিনেতাই রাজনীতি করছেন। অনেকে মনোরঞ্জনের জন্য এই জাতীয় কথা বলেই থাকেন। উনি তা স্বীকারও করেছেন। ফলে তার মধ্যে কোনও হিংসা খুঁজে পায়নি আদালত।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে গত মার্চ মাসের শুরুতে ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপি-তে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সে দিন ব্রিগেডে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তাঁর মুখে শোনা যায় তাঁর অভিনীত ছায়াছবির একাধিক সংলাপ। যেমন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘জাত গোখরো’। এর পর ভোট-পর্ব মিটতেই মিঠুনের এই সমস্ত সংলাপ নিয়ে আপত্তি তুলে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের অভিযোগ, হিংসায় মদত দিতেই ব্রিগেডের মঞ্চে এই সব সংলাপ বলেছেন অভিনেতা। কিন্তু আজ সেই অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে দিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চের রায়।