হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরের খাবার রুটি-তরকারি অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হালকা বুকে ব্যথা অনুভব হয়। তারপরে বাথরুমে যান। বাথরুম থেকে ফিরেই ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।এরপর সিপিআর দেওয়া হলেও আর সাড়া দেননি। মন্ত্রীর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জাভেদ খান। হাসপাতালে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।
advertisement
গত ২৪ অক্টোবর সকালে সকালে বাড়িতেই অসুস্থ বোধ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সরোজ মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন বা বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অক্সিজেনও দেওয়া হয়। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ হাকিমদের সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও (Subrata Mukherjee) গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সময়ও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখনও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৭৬ বছর বয়সি মন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, ষাটের দশকে কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। শুরু করেছিলেন ছাত্ররাজনীতি দিয়েই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান তার। ১৯৭২-১৯৭৭ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এর মন্ত্রী ছিলেন। ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছেন সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সঙ্গে। কলকাতার ৩৬তম মেয়র তিনি।২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত মেয়র পদে বহাল ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় যোগাযোগ ছিল নিবিড়। ইন্ডিরা যেদিন মারা যান সেদিন রাজীব গান্ধির পাশে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে আনার পিছনে চাণক্য বলে যাঁদের মানা হয়, তাঁদের অন্যতম সুব্রত মুখোপাধ্যায়।