জেলা স্তরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীর নাম নথিভুক্তকরণে দেশে দ্বিতীয়, সামগ্রিকভাবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে যক্ষ্মা রোগী নথিভুক্তকরণে দেশে তৃতীয় এবং বেসরকারি হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগীদের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুনির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দেশে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে এ রাজ্যই।
আরও পড়ুন: কোন্নগরে বালক খুনের পিছনে কি এক রহস্যময়ী? তিন দিন পরেও উত্তর খুঁজছে পুলিশ
advertisement
এখানেই শেষ নয়, যক্ষ্মা রোগীদের ‘দত্তক’ নেওয়ার কর্মসূচিও ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলায়। ‘নিক্ষয় মিত্র’ নামে এই কর্মসূচিতে যে কোনও সাধারণ মানুষ বা সংস্থা যক্ষ্মা রোগীদের ওষুধ চলাকালীন ডাল, ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। ৬ মাস থেকে ৩ বছর সময় পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ‘দত্তক’ নিতে পারেন রোগীকে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই কর্মসূচিতে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ২৫ জন টিবি রোগীর ওষুধ চলাকালীন ৬-৭ মাসের যাবতীয় খাওয়া দাওয়ার খরচ বহন করছেন তিনি। এই উদ্যোগে এগিয়ে আসা বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে একটি ইস্পাত নির্মাতা সংস্থা।
কিন্তু ঠিক কোন কারণে মিমির মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘নিক্ষয় মিত্র’ কর্মসূচিতে অংশ নিলেন? অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, মিমির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু যক্ষ্মাতে মারা যান। ঘটনাটি দাগ কেটে যায় তাঁর মনে। তারপরই এই কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। স্বাস্থ্য দফতরর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিক্ষয় মিত্রের সংখ্যা সারা রাজ্যে ১৬০০। এর মধ্যে শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই এই সংখ্যা ৩১৭।
এ দিকে, টিবি মুক্ত পঞ্চায়েত কর্মসূচির দেশব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রাজ্য ঝাড়াইবাছাই করে ২৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম দিল্লিতে পাঠিয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মিমি চক্রবর্তী, পদত্যাগপত্রও পাঠান তিনি৷ যদিও সেই পদত্যাগপত্র এখনও গ্রহণ করেননি তৃণমূলনেত্রী৷