বেশ কিছুদিন ধরে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন নির্দিষ্ট দামের থেকেও কম দামে পাইকারি দরে বিক্রি করা হচ্ছিল নামী সংস্থার গুঁড়ো দুধ। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, পরিচিত সংস্থার নামের আড়ালে গুঁড়ো দুধের সঙ্গে কমদামী গুঁড়ো দুধ ও অ্যারারুট মিশিয়ে পরিমাণ বাড়িয়ে সেটি প্যাকেটবন্দি করে বিক্রি করছিল এক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন : নেটদুনিয়ায়ায় ঝড়ের মাঝেই প্রায় নিঃশব্দে তিন ঘণ্টা সিবিআই-এর মুখোমুখি শোভন, সঙ্গী বৈশাখী
advertisement
সূত্র মারফত খবর পেয়ে গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযোগ, তখন গোডাউনের মালিক প্রদীপ দত্ত বন্ধ দরজার আড়ালে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে গুঁড়ো দুধ প্যাকিং করছিল।
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগলকিশোর দাঁ বলেন, ‘‘ সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে ওই ব্যবসায়ী।এই দুধ খেলে মানুষের কী ধরনের ক্ষতি হবে, তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠাচ্ছি।'’’ শুধু এটাই নয় ৷ যুগলকিশোরবাবুর নেতৃত্বে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ভেজালচক্রগুলি আস্তে আস্তে ধরা পড়ছে।
আরও পড়ুন : ভবানীপুর নিয়ে নিশ্চিন্ত, ভোট দিয়ে বেরনোর সময় ছোট্ট মন্তব্যে বোঝালেন অভিষেক
কিন্তু অভিযোগ, এক জায়গায় পুলিশের পা পড়লেই অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে ৷ কলকাতায় ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার, পোস্তা, রাজা কাটরা, নিমতলা এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে খাদ্যে ভেজাল সংক্রান্ত অপরাধচক্র । অভিযোগ, খুচরো ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্য কম দামে কিনছে ভেজাল খাদ্য। আর বিক্রি করছে সাধারণ বাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই ধরনের চক্রের হাত থেকে তাঁদের বাঁচার উপায় কী? প্রশ্ন করছিলেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জনতা। উত্তর এখনও অধরা ৷