মালব্যের ওই ট্যুইটটি রিট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ ট্যুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আমি আগেই বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাচ্চাদের খাবার থালা থেকে চুরি করতেও পিছপা হয় না৷ একটি অর্থবর্ষের মাত্র ২ কোয়ার্টারে ১০০ কোটির গরমিল পাওয়া যায়, তাহলে ভাবুন গত ১২ বছরে কত টাকা সরানো হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার রীতিমতো দিনেদুপুরে ডাকাতি করছে৷’
advertisement
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ এক্কেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, ‘‘এই যৌথ কমিটিতে রাজ্য সরকারের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন রাজ্য অধিকর্তা, কুকড মিড ডে মিল৷ তাঁর সই ছাড়াই এই রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয়েছে।’’
ব্রাত্যর দাবি, সেই রিপোর্টটা যদি রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে দেখানো পর্যন্ত দেখানো না হয়, তাহলে Joint Review Mission অর্থাৎ যৌথ পর্যালোচনা কমিটি-র 'যৌথ'তা টা কোথায় রইল? তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের বক্তব্য ওই রিপোর্টে যথাযথ ভাবে স্থান পায়নি। বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ সেই মর্মে প্রতিবাদ করে একটা চিঠি ওই কমিটির চেয়ারপার্সনকে দিয়েছে, যার কোনও জবাব এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
শুধুতাই নয়, ব্রাত্য বসুর প্রশ্ন, এই 'লুকোচুরি' খেলার কী উদ্দেশ্য? যদি না এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারে অন্য কোনও অভিসন্ধি থাকে? যৌথ কমিটির এই রিপোর্ট মানতে নারাজ রাজ্য।
এই একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের গলাতেও। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণাতারই ফলস্রুতি এই রিপোর্ট। তাঁরও দাবিস কেন্দ্র রাজ্য যৌথ পর্যবেক্ষণ কমিটির রিপোর্টে রাজ্যের প্রতিনিধির কোনও স্বাক্ষরই নেওয়া হয়নি। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই এই রিপোর্ট পেশ হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।