মিড ডে মিল দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে সম্প্রতি তদন্তে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশন। সেই দলের তরফে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে গত বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৬ কোটি মিড ডে মিল অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ বাড়তি খরচ দেখানো হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ শে জানুয়ারি থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ওই দলের জমা দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে গত অর্থ বর্ষের প্রথম দুই মাসিক রিপোর্টে রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে জানায় ওই ছয় মাসে পড়ুয়াদের ১৪০.২৫ কোটি মিড ডে মিল খাওয়ানো হয়েছে।
advertisement
কিন্তু জেলা প্রশাসন রাজ্যকে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল ওই সময়ে ১২৪.২২ কোটি মিল পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১৬ কোটি বেশি মিড ডে মিল কেন্দ্রকে দেখিয়েছে রাজ্য। মিশনে রিপোর্ট অনুযায়ী অতিরিক্ত দেখানো এই ১৬ কোটি মিড ডে মিলের অর্থ মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই জয়েন্ট রিভিউ মিশনের পেশ করা এই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের থেকে মতামত চেয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক বলেই সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই এই মতামত চাওয়া হয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে। চার সপ্তাহের আগেই সেই মতামত পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে মতামত পাঠাচ্ছে রাজ্য। মূলত যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ গুলি তোলা হয়েছে সেই বিষয়টি খারিজ করে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রকে মতামত দিতে চলেছে রাজ্য বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন, বড় অভিযানে ইডি, ১৫ জায়গায় রেইড! এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত ২০০ কোটির বেশি সম্পত্তি
আরও পড়ুন, 'দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে মেট্রো' স্টেশন! কবে থেকে চালু হাওড়া-শিয়ালদহ মেট্রো? বড় খবর
পাশাপাশি রাজ্যের তরফে দেওয়া সুপারিশগুলিও মানা হয়নি বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। বুধবারই এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত সাংবাদিক সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, "১০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। জেলাগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও হিসেব রাজ্য কেন্দ্রকে দিয়েছে। মিড ডে মিলের আওতাভুক্ত পড়ুয়ার সংখ্যা এক কোটি ২৪ লক্ষ হলেও, তা খায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ পড়ুয়া। সেটাই জয়েন্ট রিভিউ মিশনকে জানানো হয়েছে।"
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়