এক দিকে দমদম, অন্য দিকে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে কবি সুভাষ— মাটির উপর দিয়ে মেট্রোয় যাওয়ার সময়ে সব গ্রাহকই পরিষেবা পান। কোথাও পরিকাঠামো দুর্বল থাকলে অবশ্য মাটির উপরেও পরিষেবা মাঝেমধ্যে ব্যাহত হয় না, এমন নয়। কিন্তু সুড়ঙ্গে কারওরই পরিষেবা দেওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিল না। বিক্ষিপ্ত ভাবে অবশ্য পরিষেবা পেয়েছেন কেউ কেউ। মূলত স্টেশন থেকে আসা সিগন্যাল যতটা সম্প্রসারিত হয়, তার অংশ হিসেবেই ওই পরিষেবা মিলেছে।
advertisement
পাশাপাশি, মহিলাদের জন্য যে হেল্পলাইন নম্বর মেট্রোয় দেওয়া থাকে, নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবার সুযোগের অভাবে কী ভাবে তা ব্যবহার করা সম্ভব, সেই প্রশ্নও উঠত।নদীর তলায় মাটির গভীরে বসছে অপটিক্যাল ফাইবার। শুধু কথা বলাই নয়, ইন্টারনেটও ব্যবহার করা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।৫২০ মিটার সুড়ঙ্গ পথ পার হওয়ার সময়ে যাত্রীদের বিশেষ অনুভূতি দিতে নীল রঙের এলইডি আলো বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে ওই পথটুকু পার হতে সময় লাগবে দেড় মিনিটেরও কম সময়। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, জলস্তরের ৩৫ মিটার নীচ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অপটিক্যাল ফাইবার বসানো হচ্ছে। তাতে ফাইভ জি গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও মিলবে।
আরও পড়ুন : নজরে লোকসভা, ঝাড়গ্রামকে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প উপহার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর তরফে রেল বোর্ডে একটি প্রস্তাব গিয়েছে৷ মেট্রো কর্তাদের দাবি, সেই প্রস্তাবে বোর্ড অনুমোদন দিলেই সুড়ঙ্গের মধ্যে যাত্রীদের ফোনে ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা দিতে টেন্ডার ডাকা হবে৷ সেখানে কোনও একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাদানকারী সংস্থাকে অর্থের বিনিময়ে সুড়ঙ্গে পরিষেবা দানের সত্ত্ব দেওয়া হবে৷মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসে৷ সেই বৈঠকে টেলিকম অপারেটররা জানান, সুড়ঙ্গের মধ্যে সিগন্যাল পৌঁছে দিতে হলে তাদের প্রত্যেককে প্রতিটি স্টেশনে একটি করে ঘর দিতে হবে৷ এর প্রেক্ষিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সমস্ত স্টেশনে অতগুলি ঘর দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ সূত্রের খবর, সাধারণ যাত্রীদের জন্য সুড়ঙ্গের মধ্যে ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা দেওয়ার জন্য টেলিকম অপারেটররা মেট্রোর পাতা যে তার ব্যবহার করবেন, তার জন্যও অপারেটরদের থেকে ওই বৈঠকে টাকাও দাবি করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷।