গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ তারিখ থেকে ট্রায়াল রান শুরু করা হয়েছিল এই লাইনে। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়(রুবি মোড়) মেট্রো স্টেশনের মধ্যে মোট ৫ টি স্টেশনকে চালু করা হতে চলেছে। প্রাথমিক দফায় আপাতত এই প্রথম সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথে কোনো সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য জোকা তারাতলা লাইনের মতই "ওয়ান রেক সার্ভিস" চলবে। একটি রেকই যাতায়াত করবে রুবি থেকে কবি সুভাষের মধ্যে। একবার কবি সুভাষ থেকে ছেড়ে রুবী পৌঁছে ফের রুবি থেকে কবি সুভাষ ফিরবে ওই রেকটি।
advertisement
আরও পড়ুন, মাত্র দেড় মিনিটেই শেষ ইন্টারভিউ! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আরও বড় দুর্নীতির গন্ধ
আরও পড়ুন, ৬ বছর পরেও জানা যায়নি TET-এর ফল! মানিককে ২ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ বহাল
যাত্রী সুরক্ষা নিরীক্ষণের শেষ ধাপ সিআরএস ইনস্পেকশনে ছাড়পত্র হাতে চলে আসায় এবার কার্যত যাত্রী পরিষেবা শুরু করতে আর কোন বাধা রইল না কলকাতা মেট্রোর সামনে। তবে কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে স্টেশন গুলিকে একেবারে যাত্রী পরিষেবার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোকে দেখা ছাড়াও এই এক সপ্তাহ "ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সার্ভিসের" বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে কলকাতা মেট্রো। একই টোকেন, কিংবা স্মার্ট কার্ড কে একবারই পাঞ্চ করে এখন চালু থাকা ব্লু লাইন মেট্রোর সাথে অরেঞ্জ লাইন মেট্রো যাতে যাত্রী বিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে মেট্রো।
অর্থাৎ কেউ দক্ষিণেশ্বর থেকে চাইলে একই টোকেন নিয়ে রুবি পর্যন্ত যাত্রা করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে কবি সুভাষ স্টেশনে মেট্রো পরিবর্তন করতে হলেও টোকেন বা স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করার প্রয়োজন পড়বে না। তবে এই ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং এ ক্ষেত্রে ভাড়ার কাঠামো কি হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি মেট্রোর তরফে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই মেট্রো রেল প্রস্তুত হলেও তার পরেও তাদের নির্ভর করতে হবে রেল বোর্ডের অনুমোদিত উদ্বোধনের তারিখের দিকে। তবে রেল সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু করতে চায় মেট্রো রেলওয়ে।