আরও পড়ুন: পুরভোটে ব্যবধান ৩৭ হাজারের বেশি! তৃণমূলের অনন্যা জিতলেন বিপুল ভোটে
বর্ষীয়ান এই নেতাকে প্রার্থী পদ-প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্ররা। কিন্তু তিনি সকলের কথাই ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে বোঝাতে পাঠানো হয়েছিল ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অরুপ চক্রবর্তীকেও। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সচ্চিদানন্দবাবুর ছোট জামাই। কিন্তু জামাইয়ের কথাও শোনেননি তিনি। খানিকটা অভিমানী সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শেষ বারের জন্যে তার এই ভোটে লড়াই করা। তিনি এই লড়াইটা লড়তে চান। অন্য দিকে আগেই দলের তরফে বলা হয়েছে, দল প্রার্থী ঠিক করেছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যারা এই সিদ্ধান্ত মানছে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আমি দলের কেউ নই তো। আমাকে শাস্তি বা বহিষ্কার করবে কী ভাবে। আমি আমার মতোই আছি। আমার মতোই লড়ব।
advertisement
আরও পড়ুন: জিতে গেলেন ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা, আরও পাঁচ আসনে জয়ী তৃণমূল
জোড়া পাতা নিয়ে ভবানীপুরে লড়াই করেন তিনি। প্রচারের শুরু থেকেই একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তাঁর অভিযোগ ছিল, কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার হয়ে প্রচার করার জন্যে গ্রেফতার করা হচ্ছে তার কর্মীদের। এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও এই ওয়ার্ডে বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলা হয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ স্তর থেকে। ফল বেরনোর পর দেখা গেল সচ্চিদানন্দ বাবু হেরে গিয়েছেন, সন্দীপরঞ্জন বক্সীর কাছে। হারের পর অবশ্য তিনি বলছেন, "জনতার রায় আমি মাথা পেতে নেব।" আগামী দিনে তিনি আর ভোটে লড়বেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্য দিকে তার জামাইকে ওয়ার্ড বদল করে লড়াই করতে পাঠিয়েছিল জোড়া ফুল। বামেদের ঘাঁটি ছিল যে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে ৩৬ বছর পরে হাতছাড়া হল বামেদের। জয় হাসিল করলেন অরূপ চক্রবর্তী। ফলে একই পরিবারে দুই ভিন্ন ছবি৷ হারলেন শ্বশুরমশাই, জিতলেন জামাই।
Abir Ghosal