গত বৃহস্পতিবার ময়নার বিজেপি নেতার খুনের প্রতিবাদে জেলাজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ, সেই দিন পটাশপুরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর সিভিক ভলান্টিয়াররা নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। তারই প্রতিবাদে রবিবার পটাশপুরে জনসভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সভার অনুমোদন বাতিল করে স্থানীয় দুর্গাপুজো কমিটি।
বিজেপি জেলা নেতৃত্বের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি চাওয়া হলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ, অভিযোগ এমনটাই । এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন শুভেন্দু। পুলিশের অনুমতি না মেলায় এদিন সভা কিংবা মিছিল বাতিল ঘোষণা করা হলেও সেই মতিরামপুরে বিকেল পাঁচটার পর এসে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কর্মী সমর্থক নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের এক হাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ আমি আইন মেনে চলা একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।’
advertisement
আরও পড়ুন: পরনে শাড়ি, হাতে কুকুর ছানা! ট্রেডমিলে হাঁটছেন… উনি কে? তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া
হাতে পুলিশের অনুমতির ‘না’ চিঠির কপি এবং পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছবি সহ আগামী রবিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে পটাশপুর চলোর ডাক দেন বিরোধী দলনেতা৷ পুলিশকে নিশানা করে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘আগামী রবিবার পটাশপুরে ডুগডুগি বাজিয়ে মিছিল ও সভা করব’।
শুভেন্দু অধিকারী আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে দাবি করেন, ‘পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুন্ডুর নেতৃত্বে সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। তারই প্রতিবাদে পটাশপুরে রবিবার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী