রাজ্য জুড়ে রয়েছে চিকিৎসকের অভাব। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অনের ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন চিকিৎসকের অভাবে। চিকিৎসকদের সেই ঘাটতি মেটাতে চায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক তৈরি করা যেতে পারে কি না, সে বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।
advertisement
এবিষয়ে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন প্রতিবাদ করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক তৈরির বিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসদের নিয়ে কমিটি গড়ে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও দেখুন: মেডিক্যালে ডিপ্লোমা কোর্স করা যায় কি না দেখো, নবান্নের মিটিংয়ে বললেন মমতা
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুক্রবার ১৩ জন বিশিষ্ট চিকিৎসক সহ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল গঠন করে। এবিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানান এই কমিটিতে রয়েছেন ১. সুকুমার মুখোপাধ্যায়, ২. অভিজিৎ চৌধুরী, ৩. গোপালকৃষ্ণ ঢালি, ৪. মাখন লাল সাহা, ৫. মণিময় বন্দোপাধ্যায় (ডিরেক্টর, এসএসকেএম হাসপাতাল) ৬. ইন্দ্রনীল বিশ্বাস (অধ্যক্ষ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল), ৭. সুহৃতা পাল (স্বাস্থ্য বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য)
আরও দেখুন: আবারও বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের! এবার এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল
৮. দেবাশিস ভট্টাচার্য (স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা) ৯. সিদ্ধার্থ নিয়োগী (স্বাস্থ্য অধিকর্তা) ১০. মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, ১১. অভীক ঘোষ, ১২. রেজাউল করিম, ১৩. অনিরুদ্ধ নিয়োগী (বিশেষ সেক্রেটারি মেডিক্যাল এডুকেশন), ১৪. ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের একজন প্রতিনিধি, ১৫. ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গড়ে দেওয়া বিশেষ এই কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
ওঙ্কার সরকার