TRENDING:

Maskless People In Kolkata: মানুষের হুঁশ নেই, পুলিশের বিরাম নেই! থুতনির মাস্ক মুখে উঠছে ধমকে, সচেতনতা কোথায়?

Last Updated:

কোথাও এনক্লোজার বানিয়ে স্প্রে করে সচেতনতার চেষ্টা, কোথাও পুলিশের ধমক ক্রেতা বিক্রেতাকে আবার কোথাওবা  মার্কেটে ভিতরে স্যানিটাজেশন,

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: করোনা গ্রাফ ক্রমেই উর্ধমুখী। কিন্তু মানুষের সেই অসচেতনতার চেনা ছবি এখনও বদলানো গেল না। কলকাতা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় কখনও মাইকিং, কখনো ধমক, কখনও বা ডিসইনফেকশন স্প্রে করেও সচেতনবোধ ফেরানোর চেষ্টা করছে নিরন্তর।
advertisement

চিৎপুরে দমদম মাছের বাজারে সেই অসচেতনতার ছবি স্পষ্ট হল মঙ্গলবার আবারও। মাছ বিক্রেতা ও ক্রেতা, কারও মাস্ক থুতনিতে কারও মাস্ক গলায় ঝুলছে। কেউ আবার মাস্ক না পরেই কেনাকাটা করতে এসেছেন। চিৎপুর থানার তরফে ধমক দেওয়া হয় মাছ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। দেওয়া হয় মাস্ক। মাইকিং-এর মাধ্যমে এনাউন্সমেন্ট করা হয়।

আরও পড়ুন- ২২ জানুয়ারি নির্ঘণ্ট মেনেই হবে পুরভোট? বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মিলতে পারে উত্তর

advertisement

এদিন চিৎপুর থানার আধিকারিকরা ধমক দিয়ে বলেন বিক্রেতাদের কেন মাস্ক পড়েননি? এভাবে বিক্রি করলে সোজা লকআপ। সামাজিক দূরত্ব নেই কেন? বিক্রেতা ও ক্রেতাদের নানা অজুহাত। কেউ বলছেন, ভুলে গিয়েছেন মাস্ক পরতে। কেউ বলছেন, বাজারে গরম লাগছে, তাই মাস্ক খুলেছেন। আবার কেউ বলছেন, ফোনে কথা বলছিলেন বলে মাস্ক খুলে রেখেছেন।

দমদম রোডে  ভাতের হোটেলগুলিতে গা ঘেঁষে  খেতে বসেছেন অনেকেই। সামাজিক দূরত্ব কোথায়? পুলিশের ধমকে পড়ি কি মরি করে ভাতের থালা নিয়ে ছুট দেন কেউ কেউ। চিৎপুর থানার পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে  বসানোর জন্য হোটেল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

advertisement

পথ চলতি অনেক প্রবীণ নাগরিকদের মাস্ক ছিল না। তাঁদেরকেও মাস্ক দেয় চিৎপুর থানা। অন্যদিকে, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্টে বিভিন্ন দোকানে, এছাড়া গান্ধী মার্কেট এলাকায় শ্যামপুকুর থানার পুলিস মাইকিং করে সচেতন করে। এছাড়া যাঁরা মাস্ক পড়েনি যাঁরা তাঁদের ধরপাকড় চলে।

আরও পড়ুন- শীর্ষে কলকাতা, ৯ জেলায় দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার প্রবণতা সর্বাধিক!চিন্তায় নবান্ন

advertisement

জমায়েত দেখলে পুলিশের ধমক খায় অনেকেই। অনেকের মুখে মাস্ক ঝুলছে থুতনিতে, কারো মাস্ক ঝুলছে নাকের নিচে বা গলায়। সেই চেনা অসচেতনতার  ছবি শ্যামবাজার এলাকাতেও। পুলিশের তরফে মাইকিং, মাস্ক বিতরণ করা হয়। শ্যামবাজারে ফুটপাথে দোকানগুলিতেও চলে পুলিশের মাইকিং সচেতনতার প্রচার।

সোমবার কোলে মার্কেটে অভিনব কায়দায় মাস্কবিহীনদের ধরপাকড় চলে। গার্ড রেল দিয়ে কোলে মার্কেটে রাস্তায় এনক্লোজার বানানো হয় মুচিপাড়া থানার তরফে। যাঁরা মাস্ক পরেনি তাদেরকে এনক্লোজারে ঢোকানো হয়। পরে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। যাঁরা অপরিচ্ছন্ন ও মাস্কহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদেরকে ডিসইনফেকশন স্প্রে দিয়ে স্যানিটাইজেশনও করে মুচিপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মুচিপাড়া থানার ওসি খোদ সরোজমিনে খতিয়ে দেখেন। বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ধমক দেয় যাঁরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না ও যাঁরা মাস্ক পড়েনি। অনেকেই শিয়ালদহ থেকে সরাসরি চলে আসছেন বাজারে। ফলে দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠেছে। বৌবাজার থানার তরফে চাঁদনী মার্কেটের ভিতরে চলে দোকানে দোকানে মাইকিং। এছাড়া মার্কেটের ভিতরে স্যানিটাইজেশন করা হয়। সেখানেও চেনা অসচেতনতার ছবি। প্রশ্ন উঠছে, এতো প্রচার, মাইকিং পুলিশের তরফে করা হলেও এখনও মানুষ অসচেতন কেন! রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর কবে ফিরবে সাধারণ মানুষের হুঁশ?

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Maskless People In Kolkata: মানুষের হুঁশ নেই, পুলিশের বিরাম নেই! থুতনির মাস্ক মুখে উঠছে ধমকে, সচেতনতা কোথায়?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল