তেরোর এ দুর্গাপিতুরি লেনের এই বাড়িতে থাকত শীল পরিবার। মঙ্গলবার, হোটেলে বসে তাঁরা নিউজ এইটিন বাংলায় দেখলেন, কীভাবে তাদের বাড়িটি মাটিতে মিশে গেল....
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি মেরামতি করেছিলাম। মোটেই ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা ছিল না। আই অ্যাম জাস্ট শকড। এমনটা বলেছেন বাড়ির বাসিন্দা সোনালী শীল ৷
advertisement
চোখের সামনে এ এক দুঃস্বপ্ন। অথচ, আর কয়েক মাস পরেই এই বাড়িতে নতুন এক স্বপ্নের শুরু হওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতেই শীল পরিবারের মেয়ের বিয়ে। বিয়ের কেনাকাটাও প্রায় সাড়া। সে সবই রয়ে গিয়েছিল এই বাড়িতে। সব নিমেশে শেষ।
আরও পড়ুন - ইতিহাস তৈরি থেকে একধাপ দূরে ভারত, চাঁদে ল্যান্ড করবে চন্দ্রায়ন ২
শনিবার রাত দুটোয় বেরিয়ে আসি। মাত্রা দশ মিনিট সময় দিয়েছিল। ২২ জানুয়ারি মেয়ের বিয়ে। এক কাপড়ে বেড়িয়ে আসি। ১০০-১৫০ গ্রাম সোনা ছিল.....গয়নাগাটি-টাকাপয়সা সব ফেলে এসেছিলাম। কোনও ডকুমেন্টও আনিনি এটাও জানিয়েছেন বাড়ির মালিক সোনালী শীল ৷
এই বাড়িতেই ছিল ছাপাখানা। সেখান থেকেই শীল পরিবারের আয়। বাড়ি ভেঙে পড়ায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। সোনালী দেবী আরও বলেছেনস ‘ সিএমকে রিকোয়েস্ট করব যা ছিল তা সব যেন পাই। আমার হাজব্যান্ডের প্রেস ছিল বাড়ির তলায়। আর তো ইনকামের কোনও রাস্তা নেই। সংসার চলবে কীভাবে। বাঁচব কীভাবে। ছেলে কেরলে পড়ে। কীবাবে চালাব।’
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজে জেরেই বৌবাজারে এই বিপর্যয়। একের পর এক বাড়িত ফাটল। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু, মঙ্গলবার, দুর্গাপিতুরি লেনের এই তিনতলা বাড়িটি যে ভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তা আগে দেখা যায়নি।
আরও দেখুন