আয় বৃদ্ধি করতে দেশজুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের কো–ব্র্যান্ডিংয়ের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। আর রেল বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। কারণ অনেকেই মনে করছেন, কো–ব্র্যান্ডিংয়ের ফলে বিভিন্ন রেল স্টেশনের ঐতিহ্যে হাত পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ঘর গোছাচ্ছে বাম-বিজেপি, পিছিয়ে রইল না তৃণমূলও! জেলা ধরে দায়িত্ব ভাগ
advertisement
বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, স্টেশনের নামের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হবে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বাছাই করে নেওয়া কোনও বিজ্ঞাপন সংস্থা কিংবা তার প্রোডাক্টের নাম। আগেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে নয়াদিল্লি মেট্রোর একাধিক স্টেশনে। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে কলকাতা মেট্রোর একাধিক স্টেশনে। রেল স্টেশনের কো–ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা মেট্রো–সহ দেশের সমস্ত রেলওয়ে জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের কাছে।
আরও পড়ুন: রবিবারই কি ফুলবদলের দিন? গুঞ্জনে ঘি স্বয়ং অর্জুন সিংয়ের! তুমুল আলোড়ন বঙ্গ রাজনীতিতে
সূত্রের খবর, সরাসরি যাত্রী ভাড়া না বাড়িয়ে, আয় বাড়ানোর জন্যই এই পথে হাঁটতে হচ্ছে রেল দফতর। নন–ফেয়ার রেভিনিউয়ের অর্থ, যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করে বিকল্প কোনও পদ্ধতিতে রেলের রাজস্ব আদায় করা। হাওড়া ডিভিশন এই বিষয়ে বিতর্ক এড়াতে সার্কুলার নিয়ে জানিয়েছে, সরকারিভাবে কোনও স্টেশনের নাম কো–ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য পরিবর্তিত হবে না। ট্রেন টিকিট, পাবলিক রিজার্ভেশন সিস্টেম, ওয়েবসাইট, রুট ম্যাপ কিংবা সাধারণ যাত্রীদের জন্য রেলের ঘোষণার সময় কো–ব্র্যান্ডিং সহ স্টেশনের নাম উচ্চারিত হবে না। থাকবে না উল্লেখও। সেখানে স্টেশনের ‘অরিজিনাল’ নামই প্রাধান্য পাবে।