এখানেই থামেননি প্রবীণ এই বিধায়ক৷ দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘এক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া, আবার ভোটের পরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা এক নেতা বলাগড়ে এসে প্রেস মিটিং করে গেলেন। আমি বলাগড়ের জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিধায়ক। আমাকে তিনি একটা খবর দেওয়ার প্রয়োজন আছে সেটা মনে করলেন না। কারা তাঁকে ঘিরে বসেছিল বলাগড়ের মানুষ দেখেছেন। তাঁদের সবাই চেনেন, তাই আমি কিছু বলতে চাই না। সব ভোটের বাক্স খুললে বোঝা যাবে। সব জবাব মানুষ ভোটের বাক্সে দেবেন।’
advertisement
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে রাজ্যপাল, কথা বললেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে
এই ফেসবুক পোস্টেই ব্লক সভাপতির সঙ্গে নিজের দূরত্বও সামনে এনেছেন তৃণমূল বিধায়ক৷ নির্বাচন ব্যয় বাবদ দলীয় প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ টাকা ব্লক সভাপতি বণ্টন না করলে তার দায় তিনি নেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারি৷
এখানেই শেষ নয়, কোনওরকম চাপের কাছে মাথানত করে যে তিনি মুখ বন্ধ করবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন বলাগড়ের বিধায়ক৷ তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম মনোরঞ্জন ব্যাপারি। আমার জিভে তালা মারবে সে তালা আজও তৈরি হয়নি। সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি কিন্ত কোনও কিছুর জন্য সত্য ন্যায় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হব না।’
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বলাগড়ের দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়ে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারি৷ তার পরে দলের পক্ষ থেকে তাঁকে সতর্কও করা হয়েছিল৷ কিন্তু ফের পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগের দিন শাসক দলকে বড়সড় বিতর্কে ফেললেন মনোরঞ্জন ব্যাপারি৷